Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাতছড়ি উদ্যানে স্কুলছাত্রীর পর এবার কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে আবারও এক কলেজছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে গতকাল বুধবার হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ মামলাটি এফআইআর হিসেবে রুজু করে চুনারুঘাট থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে প্রেমিকের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়।

অন্যদিকে, সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকায় ১০ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ধর্ষক পোশাক শ্রমিক কুদরত হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া পিরোজপুরেরর মঠবাড়িয়ায় ৫ বছর বয়সী এক শিশু কন্যাকে ধান ক্ষেতে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
হবিগঞ্জ : মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, সদর উপজেলার বাতাসর গ্রামের শামীম আহমেদ মামুনের (আসামি) সঙ্গে বৃন্দাবন সরকারি কলেজে অধ্যায়নরত ২য় বর্ষের ছাত্রী মামলার বাদীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সুবাধে মামুন তাকে নিয়ে বিভিন্নস্থানে ঘুরাফেরা করতো। এ সময় বিয়ের প্রতিশ্রæতি দিয়ে প্রায়ই ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে মামুন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতো।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ভ্রমণ করার কথা বলে মামুন কৌশলে তার প্রেমিকাকে জাতীয় উদ্যানের নির্জন স্থানে নিয়ে যান। এ সময় সেখানে অবস্থানরত অন্য আসামিরা তাকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে জাতীয় উদ্যানের গহীন অরণ্যে নিয়ে যায়। সেখানে শামীম তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে আসামি ফজলুর রহমান (২৪), আলী হোসেন (২৫) ও জুনেদ লতিফও (২৭) পর্যায়ক্রমে তাকে ধর্ষণ করে।
অপর আসামি আক্কাছ আলী পাহারায় ছিলেন। গণধর্ষণের শিকার ওই কলেজছাত্রী মারাত্মকভাবে জখমপ্রাপ্ত হন। আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পর কলেজছাত্রী লোকালয়ে এসে চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ নিয়ে এলে তিনি আত্মীয়স্বজনকে ঘটনাটি জানান। তারা এসে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেন।
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার : ঢাকার সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকায় ১০ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ধর্ষক পোশাক শ্রমিক কুদরত হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোহাম্মদ জিয়াউল হক কুদরতকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করেন। এরআগে মঙ্গলবার রাতে তাকে আশুলিয়ার গকুলনগর এলাকা ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে তিনি জানান।
গ্রেফতারকৃত কুদরত হোসেন (২৮) মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার চামার গাঁ এলাকার মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে। সে গকুলনগর এলাকার রাসেলের বাড়িতে ভাড়া থেকে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতো।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: রকিবুল হাসান জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুদরত আমবাগান এলাকায় বাসা খোঁজতে গিয়ে শিশুটিকে একা পেয়ে ডেকে নিয়ে ধর্ষন করে পালিয়ে যায়। এরপর সে বাসা বদল করে পরিবারের সদস্যদের গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। মঙ্গলবার রাতে কুদরত নিজেও পালিয়ে যাওয়া চেষ্টা করেছিলো।
তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ঘটনা ঘটার আগে আমবাগান এলাকায় কুদরত বাসা খুঁজতে গিয়ে একজনের কাছে নিজের মোবাইল নম্বর দিয়েছিলো। সেই নম্বরের সূত্র ধরে তাকে চিহিৃত করা হয়।
গ্রেফতারের পর সে ধর্ষনের কথা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করলে দুপুরে তাকে ঢাকা চিফ জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়।
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) : পিরোজপুরেরর মঠবাড়িয়ায় শিপন কবিরাজ (১২) নামক এক কিশোরের বিরুদ্ধে ৫ বছর বয়সী এক শিশু কন্যাকে ধান ক্ষেতে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষিতা শিশুটির বাবা মঙ্গলবার রাতে বাদী হয়ে কিশোর শিপনকে আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে পুলিশ রাতেই উপজেলার গুলিশাখালী থেকে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করে।
মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার পূর্ব গুলিশাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষা করার জন্য বুধবার সকালে পিরোজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিপন কবিরাজ উপজেলার পূর্ব গুলিশাখালী গ্রামের সুমন কবিরাজের ছেলে।
মামলা ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে শিশুটি বাড়ির সামনে খেলছিল। এ সময় প্রতিবেশী সুমন কবিরাজের ছেলে শিপন কবিরাজ ঘূড়ি উড়ানোর কথা বলে বাড়ির সামনে ধান ক্ষেতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এ সময় শিশুটির চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষক শিপন পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন শিশুটিকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এরপর শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষা করার জন্য বুধবার পিরোজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মাসুদুজ্জামান জানান, এ ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে কিশোর ধর্ষককে গ্রেফতার করি। তিনি আরও বলেন, ধর্ষিতা শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষা করার জন্য বুধবার সকালে পিরোজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ