পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মহাসুবিধায় আছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুখে কুলুপ লাগানো বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো চেয়ারম্যান এইচটি ইমাম।
গতকাল বুধবার নির্বাচন ভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো চেয়ারম্যান এইচটি ইমাম নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণ-বিধি অনুযায়ী সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপ‚র্ণ ব্যক্তিরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন না। এক্ষেত্রে বিএনপি মহাসুবিধায় আছে। তাদের তো সব নেতাই প্রচারে অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু আমাদের তো মুখে কুলুপ লাগানো। তিনি বলেন, ২০০৪ সালের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের বিষয়টি আমিই সামনে এনেছিলাম। কিন্তু পরিস্থিতিতে আমাদের চাইতে বিএনপির অনেক উপরে। তাদের প্রচার কাজ চালাতে বাধা নেই।
আচরণ-বিধিতে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপ‚র্ণ ব্যক্তি হিসেবে মন্ত্রী, এমপিদের বাধা রয়েছে। কিন্তু ঢাকার দুই সিটি ভোটের কার্যক্রমে এমপিদের সম্পৃক্ত করেছে আওয়ামী লীগ। বিষয়টি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা তো দলীয় কার্যক্রম। নির্বাচনী কার্যক্রম নয়। এছাড়া নির্বাচনী প্রচারও এখন শুরু হয়নি।
সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ডিএনসিসি নির্বাচনের আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচন ক্যাম্প উদ্বোধন করেছেন, এই ধরনের কর্মকান্ড সরকার দলীয় এমপিরা আরও করবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তো বলতে পারবো না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়নি। নিয়োগ দেওয়া হলে তখন দেখবো, দলীয় কেউ নিয়োগ পেয়েছে কিনা।
প্রধানমন্ত্রীর এই রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, আমরা চাই শান্তিপ‚র্ণভাবে সুষ্ঠ ও অবাধ ভোটগ্রহণ হোক। এজন্য সরকার কী সহায়তা করতে পারে, সেটা নিয়ে আলোচনা করতে এসেছিলাম। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে তিনি বলেন, যন্ত্র আওয়ামী লীগ, বিএনপি চেনে না। কমিশনকে ধন্যবাদ। তারা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন, যারা দায়িত্ব পালন করবেন, তারা বিষয়টা জানেন। সেনাবাহিনী এখানে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেবে। ব্যাকআপ হিসেবে ৫০ শতাংশ মেশিন রাখা হবে। এতে একটিতে সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি লাগিয়ে দেওয়া যায়। বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ের অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, আমরা এ ধরনের কোনো ঘটনা দেখিনি। এমন অভিযোগ যারা করছেন, তারা সবসময়ই করেন। সবসময়ই এমন বলেন। কাউকে ধরপাকড় ও এলাকা ছাড়ার মতো পরিস্থিতি ঘটেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।