বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণে ‘ধর্ষক’ মজনু (৩০) আটকের ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। গ্রেপ্তার মজনু একজন ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত এই ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীর দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি তুলেছেন। আবার আটক ধর্ষককে নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। আজ বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম জানান, কুর্মিটোলায় ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের আগেও মজনু বেশ কয়েকজনকে ধর্ষণ করেছে মজনু। সে একজন সিরিয়াল রেপিস্ট। এর আগেও তিনি এই কাজ করেছেন। রাস্তায় প্রতিবন্ধী নারী, ভিক্ষুকদের ধর্ষণ করত মজনু।
মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়ে আক্তার রত্না লিখেছেন, ‘‘সরকারের বিচারহীনতার কারণে ধর্ষণের মতো পৈশাচিক ঘটনা বারবার ঘটছে। ধর্ষণের দায়ে দু’একটা নরপশুকে ফাঁসিতে ঝুলালেই ধর্ষণ এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে। কোনো...এর সাহস হবে না কোনো মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকানোর।’’
আব্দুল আজিজ লিখেছেন, ‘‘দেশবাসি অনেক নাটক দেখছে। এখন নাটকের শুরুতেই পাবলিক বলতে পারে শেষ কি দিয়ে হবে। সারা রাত বোমা মনে করে পাহারা দিয়া সকালে দেখা গেল প্লাস্টিকে মোড়ানো বেগুন। ঘঠনাটা তেমনি মনে হচ্ছে।’’
‘‘জজ মিয়া নাটক হবার সম্ভাবনা। অপরাধী হয়ে থাকলে প্রকাশ্য শাহবাগে ফাঁসি দেওয়া হোক’’ এমন মন্তব্য নেহার উদ্দিনের।
এম বাপ্পি লিখেছেন, ‘‘ইসলামিক নিয়ম মেনে ধর্ষণের শাস্তি দিলে আমার মনে হয় বাংলাদেশ থেকে ধর্ষণ জিনিসটা উঠে যাবে।’’
রাইহান উদ্দীন আলী লিখেছেন, ‘‘যখনই কোনো ধর্ষণের নিউজ পত্রিকায় আসে, তখনই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী তনুর কথা মনে হয়। সারা বাংলাদেশ, তখন কেঁপে উঠেছিল। এই রাষ্ট্র বিচার করেনি।..আজও তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি।’’
ফাহিম আল হাসান প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘এত একটা পাতলা চিকন মানুষ একটা মেয়েকে কি করে কোলে তুলে নিয়ে যায়। মেয়েটা যদি কষাই দুই তিনটা থাপ্পড় দিয়ে দিতো তাহলেই তো মাছির মত বৌ বৌ করে ঘুরে পড়ে যেত। আমার মাথা আসে না মেয়েটার গায়ে কি শক্তি ছিলো না?’’
রইছ উদ্দীন লিখেছেন, ‘‘মেয়েটি সাহসী। সে ধর্ষকের ছবি দেখে শনাক্ত করেছে, এছাড়া ডিএনএ টেস্টের সুযোগ আছে। জজ মিয়া নাটকের সম্ভাবনা নেই। সেই প্রেক্ষাপট নয়।’’
‘‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমার পুর্ণ আস্থা আছে। তবে এই রেপিস্টের বিষয়টা আমার বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। এরকম একটা পাগল টাইপের লোক একা কিভাবে একজন নারীকে রেপ করবে? তাও আবার ২ ঘণ্টা অবস্থান করেছে’’ মন্তব্য কোসাল দাসের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।