পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় সালমা আক্তার নামের এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে গিয়েছেন ঘাতক স্বামী। পরে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গত সোমবার দিবাগত রাতে খিলক্ষেতের পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত সালমা আক্তার (২৬) স্বামী মো. হাসানের সাথে খিলক্ষেত পশ্চিমপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তার স্বামী পেশায় সবজি বিক্রেতা। তাদের দুই শিশু সন্তান রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সালমার সাথে প্রতিদিনই ঝগড়া করত ঘাতক স্বামী। এর ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাতেও তার সাথে ঝগড়া করে। এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং সালমার বড় বোনকে বিষয়টি ফোনে জানিয়ে সে পালিয়ে যায়।
নিহতের স্বজনরা জানান, সোমবার রাত দশটার দিকে ঘরের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঢামেক মর্গে পাঠায়। সালমার বাবা নূরুল হক জানান, তার স্বামী হাসান জুয়ায় আসক্ত ছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। সালমাকে তার স্বামী মারধোর করতেন বলেও জানায় স্বজনেরা। পারিবারিক কলহের জেরেই শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বোন নুরজাহান বলেন, ২০১০ সালে সবজি বিক্রিতা হাসানের সাথে তার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী নির্যাতন শুরু করে। অনেক সময় নির্যাতন সইতে না পেয়ে বাবার বাসায় চলে আসত সালাম। পরে আবার নিয়ে যেতে। এভাবে একাধিক বার নিয়ে গিয়ে ফের নির্যাতন শুরু করে। এভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে সালমা খিলক্ষেতেই আমাদের বাবার বাসায় চলে আসে। কিন্তু কয়েকদিন আগে আমার বোনকে আবার নিয়ে যায় হাসান।
গতকাল বিকেলে খিলক্ষেত থানার এসআই আসাদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। পরে ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় নিহত সালমা আক্তারের বাবা বাদি হয়ে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় নিহতের স্বামী মো. হাসানকে আসামি করা হয়। তবে এখনো তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, হত্যার করার পর স্ত্রীর বড় বোনকে ফোন করে হত্যার বিষয়টি জানিয়ে স্বামী পালিয়ে যায়। পরে সালমা আক্তারের স্বজনরা এসে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ঘরের তালা ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করে। তিনি জানান, লাশটি ঘরে খাটের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়েছিল। তার গলায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে।
অনেক দিন থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল জানিয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, কলহের জের ধরে সালমা দুই সন্তানকে নিয়ে একই এলাকায় তার বাবার বাসায় থাকতেন। গত ১ জানুয়ারি স্ত্রীকে নিজের বাসায় এনেছিলেন হাসান।
এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং ক্যান্টিনের পিছনে থেকে পুরাতন কাপড় দিয়ে মুড়ানো অবস্থায় নবজাতক এক ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। শাহবাগ থানার এসআই আব্দুল কাদের জানান, হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খবর পেয়ে নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে রাতের আধারে কে বা কারা ওই নবজাতকটিকে ফেলে রেখে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।