পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার নিজেদের পকেটের উন্নয়ন চায় না। সরকার মন্ত্রী-এমপিদের পকেটের উন্নয়ন নয়, জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে চায়।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি তাদের নিশ্চিত পরাজয় জেনে ডিজিটাল ভোটদান পদ্ধতি ইভিএম নিয়ে বিষোদগার করছে বলেও মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের আয়োজনে গতকাল সাভার উপজেলায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল, শিশু খাদ্য ও শুকনা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় মন্ত্রী ডিসিসি নির্বাচন নিয়ে বলেন, এই নির্বাচন নিয়ে যে যেই কথাই বলুক, আমি জনগণকে, ঢাকাবাসীকে আশ্বস্ত করছি- নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সাথে প্রধানমন্ত্রী আমাদের জনগণের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাইতে বলেছেন। আমাদের কোন খারাপ উদ্দেশ্য থাকলে আমরা কেন ঘরে ঘরে গিয়ে তাহলে ভোট চাইছি। কারণ আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। আর এই নির্বাচনে আমরা নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে চাই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির কড়া সমালোচনা করে বলেন, নির্বাচন হওয়ার আগেই কারচুপি হবে, ইভিএমে ভোট কারচুপি ও জালিয়াতি হবে এসব অবান্তর অভিযোগ করছে বিএনপি। অথচ অতীতে ইভিএম পদ্ধতির নির্বাচনে তারাই বেশি জয়লাভ করেছে। মূলত তারা এই আধুনিক প্রযুক্তির বিরুদ্ধে। ডিজিটাল ভোট পদ্ধতি, ডিজিটাল বাংলাদেশ তারা চায় না। কেননা তারা জানে, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপি হেরে যাবে। কাজেই নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে বিএনপি এখন ইভিএমের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য তারা আজে বাজে, আবোল তাবোল বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন।
তাই ঢাকাবাসী, জনগণকে সতর্ক থাকার আহŸান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা যাকে খুশি তাকে ভোট দেবেন। আমরা নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই। হারি জিতি নাহি লাজ। কারণ এই নির্বাচন স্থানীয় সরকার। হেরে গেলে আমাদের উপর আকাশ ভেঙে পড়বে না।
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে একজন মানুষও যাতে শীতে কষ্ট না পায়, কেউ যেন শীতে মৃত্যুবরণ না করে সে জন্য দলীয়ভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে ৪০ লাখ কম্বল ও ২ কোটি নগদ টাকা, শিশুদের জন্য শীতবস্ত্র ও শুকনো খাবার বিতরণ করেছে।
সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলার সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজুর রহমান, পৌর মেয়র হাজী আব্দুল গণি, উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, তেতুঁলঝোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমরসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।