Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ভাঙনরোধ প্রকল্প আজ একনেকে উঠছে

বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০৪ এএম

বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের দোয়ারিকাতে বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু ও সংযোগ সড়ক সুগন্ধা নদীর ভয়াবহ ভাঙন থেকে রক্ষায় ২৩৪ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ নদী শাসন প্রকল্পটি আজ একনেকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপিত হচ্ছে।

দক্ষিণাঞ্চলের সাথে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ রক্ষাকারী বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের ওই সেতু ও সংযোগ সড়কসহ পাশের বিশাল এলাকা রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক অধিদফতর এবং নদী শাসন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান-আইডবিøউএম দীর্ঘ সমীক্ষা চালিয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে বীর শ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু এলাকার সুগন্ধা নদীর ৩ হাজার ৭৬৫ মিটার তীর রক্ষাসহ সোয়া ৬শ’ মিটার একটি চরের ৮ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণের নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে।

আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তনুযায়ী সড়ক অধিদফতরের এ সেতু ও সংযোগ সড়কটি রক্ষায় ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পটি ‘ডিপোজিট ওয়ার্ক’ হিসবে বাস্তবায়ন করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ইনল্যান্ড ওয়াটার ম্যানজমেন্ট-আইডবিøুউএম’ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, দোয়ারিকাতে সেতুটির বরিশাল প্রান্তে সুগন্ধা নদীর বাম তীর ঘেঁষে উজানে একটি ‘কনকেভ ব্যান্ড’ তৈরি হয়েছে। ফলে নদীর ওই প্রান্তে স্রোতের চাপ অত্যন্ত বেশি। পাশাপাশি নদীর অপর প্রান্তের ডান তীর ঘেষে চর জেগে উঠে ক্রমান্বয়ে তা বাম তীরের দিকে বর্ধিত হচ্ছে।

মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর ক্ষেত্রেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় ভাঙন রোধে নদী তীর রক্ষার পাশাপাশি চর অপসারণের সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের আলোকে সেতু এলাকায় নদীর বাম তীরের উজানে ১ হাজার ৮শ’ মিটার ও ভাটিতে ২শ’ মিটার এবং ডান তীরের উজানে ৭৬৫ মিটার ও ভাটিতে ১ হাজার মিটার নদী তীর সংরক্ষণ করা হবে।

কুয়েতের অর্থায়নে ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সালের মধ্যে দেড়শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি চীনা প্রতিষ্ঠান বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কটির শিকারপুর ও দোয়ারিকাতে দুটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেতু দুটি নির্মাণের পরেই দোয়ারিকায় বরিশাল প্রান্তে ভাঙন শুরু হয়। গত দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর বরিশাল প্রান্তের সংযোগ সড়কের দিকে নদী ভাঙন এগিয়ে আসলেও মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে তড়িৎ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি।



 

Show all comments
  • ** হতদরিদ্র দীনমজুর কহে ** ৭ জানুয়ারি, ২০২০, ৮:৪৯ এএম says : 0
    এর সংঙে পটুয়াখালী জেলার বাউফল ঊপজেলার ধুলিয়া গ্রামটি রখ্খা করুন। তেতুঁলিয়া নদীর কড়াল গ্রাসে এ গ্রামটি বিলিন হয়ে যাচ্ছে।আশা করি সরকার গভির ভাবে বিবেচনা করবেন।আফ্র_এশিয়া র অভিসংবাদিত নেতা। বামপন্থি রাজনীতির অন্যতম পুরোধা জনাব সৈয়দ আশরাফ হোসেন শায়ীত আছেন এইমাঠিতে।তার সমাধিস্থল থেকে মাত্র ২শ ফুট দুরে নদী।।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সেতু

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ