পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের দোয়ারিকাতে বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু ও সংযোগ সড়ক সুগন্ধা নদীর ভয়াবহ ভাঙন থেকে রক্ষায় ২৩৪ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ নদী শাসন প্রকল্পটি আজ একনেকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপিত হচ্ছে।
দক্ষিণাঞ্চলের সাথে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ রক্ষাকারী বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের ওই সেতু ও সংযোগ সড়কসহ পাশের বিশাল এলাকা রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক অধিদফতর এবং নদী শাসন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান-আইডবিøউএম দীর্ঘ সমীক্ষা চালিয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে বীর শ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু এলাকার সুগন্ধা নদীর ৩ হাজার ৭৬৫ মিটার তীর রক্ষাসহ সোয়া ৬শ’ মিটার একটি চরের ৮ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণের নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে।
আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তনুযায়ী সড়ক অধিদফতরের এ সেতু ও সংযোগ সড়কটি রক্ষায় ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পটি ‘ডিপোজিট ওয়ার্ক’ হিসবে বাস্তবায়ন করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ইনল্যান্ড ওয়াটার ম্যানজমেন্ট-আইডবিøুউএম’ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, দোয়ারিকাতে সেতুটির বরিশাল প্রান্তে সুগন্ধা নদীর বাম তীর ঘেঁষে উজানে একটি ‘কনকেভ ব্যান্ড’ তৈরি হয়েছে। ফলে নদীর ওই প্রান্তে স্রোতের চাপ অত্যন্ত বেশি। পাশাপাশি নদীর অপর প্রান্তের ডান তীর ঘেষে চর জেগে উঠে ক্রমান্বয়ে তা বাম তীরের দিকে বর্ধিত হচ্ছে।
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর ক্ষেত্রেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় ভাঙন রোধে নদী তীর রক্ষার পাশাপাশি চর অপসারণের সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের আলোকে সেতু এলাকায় নদীর বাম তীরের উজানে ১ হাজার ৮শ’ মিটার ও ভাটিতে ২শ’ মিটার এবং ডান তীরের উজানে ৭৬৫ মিটার ও ভাটিতে ১ হাজার মিটার নদী তীর সংরক্ষণ করা হবে।
কুয়েতের অর্থায়নে ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সালের মধ্যে দেড়শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি চীনা প্রতিষ্ঠান বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কটির শিকারপুর ও দোয়ারিকাতে দুটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেতু দুটি নির্মাণের পরেই দোয়ারিকায় বরিশাল প্রান্তে ভাঙন শুরু হয়। গত দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর বরিশাল প্রান্তের সংযোগ সড়কের দিকে নদী ভাঙন এগিয়ে আসলেও মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে তড়িৎ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।