Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জানাজায় কাঁদলেন খামেনি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২০, ৩:৪১ পিএম

‘কমান্ডার অব হার্টস’-এর জানাজায় কাঁদলেন ইরানের ইসলামী বিপ্লবের নেতা বা ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলী খামেনি। তিনিই সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় ইউনিভার্সিটি অব তেহরানে কুদস ফোর্সের নিহত কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও তার সঙ্গে নিহত অন্যদের জানাজা পড়ান। এ সময় আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে কাঁদতে দেখা যায়। এ সময় হাউমাউ করে কাঁদেন উপস্থিত জনতা। জানাজা শেষে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান তিনি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি ও তেহরান টাইমস। এতে বলা হয়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে এই শেষ শ্রদ্ধা প্রদর্শন শুরু হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধা জানানোর কয়েক ঘন্টা আগে থেকেই তেহরানের রাস্তায় নামে শোকার্ত জনতার ঢল।
জানাজা শেষে সোলাইমানির লাশ রাখা হবে আজাদি স্কয়ারে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবেন। পরবর্তীতে আরেকটি আনুষ্ঠানিকতরার জন্য তার দেহ নিয়ে যাওয়া হবে কোম নগরীতে। ইরানের গুরুত্বপূর্ণ এই নেতার দাফন সম্পন্ন হবে মঙ্গলবার কেরমান শহরে।
এতে অংশ নেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানিসহ অন্যান্যরা। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানাজার সরাসরি সম্প্রচার করে।
পার্সটুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাখ লাখ জনতা নিয়ে সোলাইমানির জানাজা পড়ান আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। এসময় তার চোখে পানি দেখা গেছে। এর আগে জানাযায় অংশ নিতে ভোররাত থেকে লাখ লাখ মানুষ তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আসতে থাকেন।
এ সময় জনতার হাতে জেনারেল সোলাইমানি ও আবু মাহদি আল-মুহানদিসের ছবি শোভা পাচ্ছিল। তারা ‘আমেরিকা ধ্বংস হোক’, ‘ইসরাইল নিপাত যাক’, ‘আমার ভাইকে যারা মেরেছে তাদেরকে হত্যা করব’ ইত্যাদি ¯েøাগান দেন। প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে অনেকে নিজেদের শিশুসন্তান নিয়ে জানাজায় অংশ নেন। এর আগে গতরাতে সোলাইমানির মরদেহ মাশহাদ থেকে তেহরানে এসে পৌঁছায়।
তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে জানাজার নামাজ শেষে ইরাকে মার্কিন হামলায় নিহত সোলাইমানিসহ বাকি সেনা কর্মকর্তাদের লাশ ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে ধর্মীয় নগরী কোমে নেয়া হবে। কোম নগরীতে সোলাইমানির জানাজার নামাজ শেষে তার জন্মস্থান কেরমান প্রদেশে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই তার শেষ জানাজার নামাজ শেষে দাফন করা হবে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়, তেহরানে জনতার ঢল। তিল ধারণের স্থান নেই যেন। সেখানে জনতা তাকে একজন জাতীয় বীরের মর্যাদা দিয়েছে। সুপ্রিম নেতা খামেনির পরেই তাকে দেখা হতো দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে। শোকাহত জনতার হাতে এদিন ছিল প্রয়াত নেতার পোট্রেট ছবি। সেই ছবি হাতে নিয়ে তারা ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ ¯েøাগান দিতে থাকেন। এর আগে কাসেম সোলাইমানির তেহরানের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। এ সময় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বুঝতে পারছে না তারা আসলে কি ভয়াবহ অন্যায় করেছে। যেদিন এই অঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের হাত চিরদিনের জন্য কেটে ফেলা হবে সেদিন এই রক্তের বদলা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খামেনি

৬ জানুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ