গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সন্ধ্যা তখন মাত্র ৭টা। এই সময়টাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর রাস্তা থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে এ ঘটনা ঘটায় দুর্বৃত্তরা। রোববার গভীর রাতে ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। তিনি বর্তমানে হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
ওই তরুণী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তিনি ক্যাম্পাসের একটি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। এই ঘটনায় ফুঁসে ওঠেছে পুরো ক্যাম্পাস। রাতেই ধর্ষকদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, রাজধানীর কুর্মিটোলায় বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার জন্য বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ওঠেন ওই ছাত্রী। বাস থেকে কুর্মিটোলা এলাকায় নামার পর অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন তার মুখ চেপে ধরে।
এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। রাত ১০টার দিকে চেতনা ফেরার পর তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বান্ধবীর বাসায় যান। বান্ধবীকে ঘটনা জানান। এরপর সহপাঠীরা তাকে আবাসিক হলে নিয়ে আসেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়।
রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক হাসপাতালে তাকে দেখতে যান। তারা নিপীড়নের শিকার ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।
ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাহান গণমাধ্যমকে জানান, পুলিশ ঘটনাটি জেনেছে। ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পুলিশ হাসপাতালে গেছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওই ছাত্রী গণমাধ্যকে জানান, একসঙ্গে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য রোববার সন্ধ্যায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কুর্মিটোলা এলাকায় বাস থেকে নামেন। সেখান থেকে অজ্ঞাত কয়েক ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এরপর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।