বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের খোলা বাজারে পেঁয়াজ আবার ডবল সেঞ্চুরী করার মধ্যে ভীড় বাড়ছে টিসিবি’র ট্রাকের পেছনে। গত কয়েকদিনের বৈরী আবহাওয়ায় পরিবহন সংকটের সাথে পোঁয়াজ সহ বিভিন্ন রবি ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হবার সম্ভবনার অজুহাতে তিনদিন ধরে দক্ষিণাঞ্চলের পাইকারী ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দর বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রবিবার সপ্তাহের প্রথম দিনে বরিশালের খুচরা বাজারে দেশী পেয়াঁজ বিক্রী হয়েছে দুশ টাকা কেজি দরে। অথচ গত সপ্তাহেই বরিশালের পাইকারী বাজারে দেশী পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রী হয়েছে। যা খুচরা বাজারে ছিল ১৩০টাকা।
খুচরা বিক্রেতাদের দাবী তারা বেশী দামে কিনে শতকরা ১০ টাকা মুনফায় পেঁয়াজ বিক্রী করছেন। অপরদিকে পাইকারী বাজারের বিক্রাতাদের দাবী গত কয়েকদিনের বৈরী আবহাওযায় মোকামে পেঁয়াজ না থাকায় সেখানেই দাম বাড়ান হয়েছে। উপরন্তু অসময়ের বৃষ্টিপাতে কৃষকরা জমি থেকে পেঁয়াজ তুলতেও পারছেন না। ফলে মাঠে প্রচুর পেঁয়াজ যেমনি বিনষ্ট হবার আশংকা বাড়ছে, তেমনি মোকামে পেঁয়াজের আমদানীও হৃাস পাচ্ছে। ফলে দাম বাড়াচ্ছে মোকামের ব্যবসায়ীরা। আর এর প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে।
আর এর প্রভাবে টিসিবি’র ট্রাকের পেছনে লাইন আরো দীর্ঘায়িত হচ্ছে। সপ্তাহিক দুদিন ছুটির পরে রবিবার প্রথম কর্মদিবসে বরিশাল মহানগরীতে ৮টি ট্রাকে আট টন পেঁয়াজ বিক্রী করেছে রাষ্ট্রীয় বানিজ্য সংস্থাটি। নগরীর ৮টি পয়েন্টে এসব ট্রাক দাড়াবার সাথেই বিপুল সংখ্যক নারীÑপুরষ পেঁয়াজ কেনার জন্য লাইনে দাড়াতে দেখা গেছে। অনেকে দেড় থেকে দু ঘন্টা অপেক্ষা করে এক কেজি পেঁয়াজ কিনে যথেষ্ঠ স্বস্তির কথা জানিয়েছেন।
গত এক মাসে টিসিবি বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের ৮টি জেলায় প্রায় দুশ টন পোঁয়াজ বিক্রী করেছে। প্রথমে ৪৫ টাকা ও পরে ৩৫ টাকা কেজি দরে এসব পেঁয়াজ নি¤œবিত্ত ও নি¤œ-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য যথেষ্ঠ স্বস্তি বয়ে আনে। তবে এক কেজি পেঁয়াজ কেনার জন্য মানুষের দূর্ভোগও ছিল সব বর্ণনার বাইরে। টিসিবির বরিশঅল অপিসের অফিসার ইনচাজ জানিয়েছেন পর্যাপ্ত পেঁয়অজ মজুদ রয়েছে তাদের। দক্ষিণাঞ্চলের খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রী অব্যাহত থাকবে।