পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ থেকে পাঁচ দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ-২০২০ শুরু হচ্ছে। পুলিশ সপ্তাহ রোববার থেকে শুরু হয়ে চলবে আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনস্ মাঠ রাজারবাগে বর্ণাঢ্য পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন। তিনি সারাদেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করবেন। সেবা, সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য প্রতিবছরের মতো এবারও পুলিশ সপ্তাহে চারটি ক্যাটাগরিতে ১১৮ জনকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক বিপিএম ও প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক-পিপিএমের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। পদকপ্রাপ্তদের প্যারেডে অংশ নেয়ার জন্য পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স) হায়দার আলী খান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানা গেছে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, রোববার থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্টদের হাতে পদক তুলে দেবেন। এ ছাড়া প্রশংসনীয় ও ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর ‘আইজিপিস এক্সেমপ্ল্যারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ’ পাচ্ছেন ৫৯৫ জন। আসন্ন পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে ছয়টি বিশেষ ক্যাটাগরিতে মনোনীতরা পুলিশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই পুরস্কার পাবেন।
দাবিতে সম্মতি, বাস্তবায়ন নেই
পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্টদের কাছে যৌক্তিক দাবি তুলে ধরেছেন তারা। তাৎক্ষণিকভাবে দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন নেই বললেই চলে।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের পুলিশ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছিল পুলিশ। সেগুলো বাস্তবায়নে তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে ২০২০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত একটিও বাস্তবায়িত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। রোববার পুলিশ সপ্তাহে পুরনো দাবির দ্রæত বাস্তবায়নসহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবারো একগুচ্ছ দাবি তুলে ধরবে পুলিশ।
২০১৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর জন্য একটি স্পোর্টস ট্র্রেনিং কমপ্লেক্স তৈরি দাবি জানানো হয়েছিল। সে অনুযায়ী, পুলিশ সদর দফতরের ডেভেলপমেন্ট-২ শাখা উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) প্রণয়নের কাজ করছে। ডিপিপি তৈরির পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরপর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় যাবে এই প্রস্তাব। ফলে সহসাই নিজস্ব স্পোর্টস কমপ্লেক্স পাচ্ছে না পুলিশ। একই বছর পুলিশ সদস্যদের পরিবারের আজীবন (মৃত্যুর আগ পর্যন্ত) দুই সদস্যের পারিবারিক রেশন সুবিধা চেয়েছিল পুলিশ।
পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী পুলিশের এই প্রস্তাব মেনে নেন। তবে বর্তমানে এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-২ শাখায় আটকে আছে। এছাড়া, ‘দুষ্কৃতকারী কর্তৃৃক আক্রান্ত হয়ে’ মৃত্যুবরণকারী কর্মকর্তাদের পারিবারিক রেশন দেয়া হলেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিহত হওয়া কর্মকর্তাদের পরিবার এই সুবিধার বাইরে। তাদের পরিবারকে এই সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রæতি থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একজন কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, দীর্ঘদিনের দাবির পর অর্থ বিভাগ রাজশাহীর সারদার পুলিশ একাডেমি ও মিরপুরের স্টাফ কলেজের কর্মরত ও পদায়িত বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারদের শর্ত সাপেক্ষে ৩০ শতাংশ প্রশিক্ষণ ভাতা দিতে সম্মতি জানায়। এছাড়া, জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকাশ ভাতা বৃদ্ধিকরণের প্রস্তাব মেনে নেয় সরকার। তবে এটিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-২ শাখায় আটকে আছে।
পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা বলেন, ৫ জানুয়ারি থেকে পুলিশ সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হবে। পুলিশ সদস্যরা প্রতিবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজেদের যৌক্তিক দাবিগুলো তুলে ধরবেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নতির জন্য ২০১৭ ও ২০১৮ সালে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে ১০ তলা ভবন করার প্রস্তাব ছিল পুলিশের। সরকার এই প্রস্তাবনা মেনে নিয়েছিল। তবে সর্বশেষ ২ জানুয়ারি এই প্রস্তাবের অগ্রগতি জানতে চাইলে মন্ত্রণালয় জানায়, ‘বর্তমানে উক্ত প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি কাজের জন্য কনসালট্যান্ট নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন।
একই বছর পুলিশের এসআই, সার্জেন্ট ও এএসআইদের সরকারি কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ক্রয়ে স্বল্প সুদের কিস্তির বা ঋণের প্রস্তাব ও জ্বালানি ভাতা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। তবে দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এটি আটকেই আছে পুলিশের ট্রান্সপোর্ট ও অডিট শাখায়। যদিও পুলিশের কমিউনিটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার কারণে বাহিনীর সদস্যরা সেখান থেকে নিজ উদ্যোগে ঋণ নেয়ার চেষ্টা করছেন।
দাবি-দাওয়ার বিষয়ে প্রকাশ্যে কেউ কথা না বললেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকাবস্থায় পুলিশের অনেক উন্নয়ন করেছেন। পুলিশের সব দাবি-দাওয়া মেনে নিয়েছেন। আমরা যখনই তার কাছে আমাদের যৌক্তিক দাবি-দাওয়া তুলে ধরি, তিনি সঙ্গে সঙ্গে এগুলো বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন। তবে এগুলোর অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয় না, নানা কারণে নানা মন্ত্রণালয়ে আটকে যায়। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এগুলো বাস্তবায়ন দরকার বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।