বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ছাত্রদের আরব দেশের পোশাক পরে ক্লাস করার সমালোচনা করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। শিক্ষার্থীদের বিশেষ পোশাক নিয়ে কর্তৃপক্ষের উদ্বেগ জানানো নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে ফেইসবুকে।
জানা গেছে, শেষ ক্লাস উপলক্ষে সম্প্রতি কুয়েটের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের ১৫ ব্যাচের ছাত্ররা ভিন্নধর্মী কিছু করার চিন্তা করেন। এর অংশ হিসেবে আরব দেশের মতো পোশাক পরে ছাত্ররা আর মেয়েরা শাড়ি পরে ক্লাসে হাজির হন। অ্যারাবিয়ান পোশাক পরা কিছু ছবি সামাজিকমাধ্যমেও তারা পোস্ট করেন। এরপরই ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়।
এ নিয়ে ফেসবুকে অনেকেই নানা মন্তব্য করেছেন। ভিন্নধর্মী আয়োজনের কারণে অনেকে তাদের প্রশংসা করে বলেছেন, শেষ ক্লাসে স্মরণীয় কিছু করতে পেরেছেন তারা। এতে কোনো সমস্যা দেখছেন না।
তবে কথিত প্রগতিশীল দাবিদার কেউ কেউ পোশাকটিকে জঙ্গিবাদের সাথে জড়িয়ে সমালোচনা করেছেন। কিছু গণমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করতে দেখা যায়। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ধর্মপ্রাণ মানুষেরা।
গত ১ জানুয়ারি কুয়েট রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে দেওয়া এক পত্রে এ পোশাক সম্পর্কে জানাতে ওই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানানো হয়। কুয়েট রেজিস্ট্রার জি এম শহিদুল আলম স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধভাবে কিছু নির্দিষ্ট পোশাক পরিধান করে শোভা বা র্যালিতে অংশগ্রহণ করছে- যা বাংলাদেশের সংস্কৃতির পরিপন্থী বিধায় বিশ্ববিদ্যালয়কে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলছে’
সোহারাব বিন মানিক লিখেছেন, ‘‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের দৃশ্য। ইতিমধ্যেই সেক্যুলারিজমের চুলকানি শুরু হয়ে গেছে। তারা সুন্নতি পোশাককে জঙ্গিবাদের দিকে আকৃষ্ট হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন।’’
আবদুর রহমান লিখেছেন, ‘‘ছেড়াফারা ডেনিম জিন্সের চেয়ে তো শালীন আর উত্তম তাই না, তাতে সমালোচকদের সমালোচনা কিচ্ছু যায় আসে না।’’
‘‘খুব সুন্দর। তবে ভয় হয় যদি জঙ্গি নাম দিয়ে করো জীবনটা শেষ করে দেয়।এই দেশকে মেধাশুন্য করার যত পদক্ষেপ আছে সব বাস্তবায়ন করা হচ্ছে’’ মন্তব্য ফারহান হোসেইনের।
মোহাম্মাদ রফিক লিখেছেন, ‘‘ভালো তো, পোশাকে কি আসে যায়, নতুন ধারার যে কোন চিন্তা ভাবনা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।’’
আবু আব্দুল্লাহ ক্ষোভের সাথে লিখেছেন, ‘‘অনেকের চেতনার দণ্ড এখন দাঁড়াইয়া যাবে। এখন অন্য কোন পোশাক পরলে কোন সমস্যাই হতো না। হয়তো তারা এই ড্রেসকে পছন্দ করেছে। হায়রে বাঙ্গালি! আজকে সুচির লুঙ্গি, পশ্চিমা বিকিনী পরলেও তখন কেউ কোন কথা বলতো না।’’
‘‘যারা এই পোশাক কে খারাপ বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাদের বলি, তারা যে পোশাক পরিধান করছে সেটাকি তার কালচারে সৃষ্টি? আমরা বাংলাদেশিরা নিজেদের পোশাক কি, ভাষা কি সেটাই ভালো করে জানিনা,,,সব থেকে বড় কথা তারা শালীন ও মার্জিত পোশাক পরেছে, তাদের জন্য দোয়া রইলো আমার পক্ষ থেকে’’ সমালোচনা করে লিখেছেন তরিকুল ইসলাম।
মোহাম্মাদ মনির লিখেছেন, ‘‘আরব দেশের পোশাক বলেন কেন? এটা সব মুসলমানের পোশাক। আমাদের নবীর পোশাক।’’
শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘‘মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রের ছেলেরা মুসলমানদের পোশাক পরিধান করবে এটা নিয়ে টানাটানি করার কি আছে। সবাইকে খুব সুন্দর লাগতেছে। আলহামদুলিল্লাহ।’’
‘‘কি বলবো মুসলমানের পোশাককে প্রগতিশীলরা আরবের পোশাক বানাই ফেলছে।ওদের চুলকায় ঈমানের পথে থাকলে’’ মন্তব্য আবু সাইদের।
নুরুল আমিন লিখেছেন, ‘‘আরাবিয়ান পোশাক পরলে যাদের চুলকায় তাদের কাছে প্রশ্ন- টিভিতে যারা পশ্চিমা পোশাক পরে উপস্থাপনা করে তখন তোদের উদ্বেগ কোথায় থাকে?’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।