বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শৈত্য প্রবাহের সাথে ঘন কুয়াশায় দক্ষিণাঞ্চলে ঠা-াজনিত রোগব্যাধিসহ ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ঠা-াজনিত রোগ জেকে বসেছে দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিটি এলাকায়।
সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন গড়ে অর্ধ শতাধিক রোগী ভর্তি হচ্ছে নিউমোনিয়াসহ ঠা-াজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে। এর সাথে বাড়ছে ডায়রিয়া। পানিবাহিত এ রোগে আক্রান্ত রোগী খুব দ্রুত কাবু হয়ে পড়ছে ঠা-াজনিত কারণে। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিপুল সংখ্যক ঠা-াজনিত রোগী ছাড়াও ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু ভর্তি হয়েছে। বিভাগে ডায়রিয়া ও ঠা-াজনিত রোগীর সংখ্যা সব মিলিয়ে ২০ হাজারেরও বেশি।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের দায়িত্বশীল সূত্র মতে, গত দু’মাসে দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলার ৪২টি উপজেলায় ডায়রিয়া আক্রান্ত ছয় সহস্রাধিক মানুষ সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে ঠা-াজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত আরো প্রায় দু’হাজার মানুষ সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়। তবে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে একজনের মৃত্যুও ঘটেছে। তবে সরকারি হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য প্রশাসন।
বর্তমান পরিস্থিতিকে কিছুটা স্পর্ষকাতর মনে করে স্বাস্থ্য প্রশাসন থেকে দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলা-উপজেলাতে ৪১১টি মেডিকেল টিম গঠনের কথাও বলা হয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের অফিস থেকে।
বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক-স্বাস্থ্য ডা. আবদুর রহিম গতকাল ইনকিলাবকে জানান, আমরা প্রতিটি স্তরে রোগীদের খোঁজ খবর রাখছি। উপজেলা থেকে জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত আইভি স্যালাইন ও ওরাল স্যালাইন ছাড়াও প্রয়োজনীয় সব ঔষধ মজুদ রয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। তবে তিনি সকলকে ঠা-া এড়িয়ে চলারও পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষ করে শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে বলেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।