পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুরনো গ্লানিকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছর বরণে বিশ্বজুড়ে ছিল নানা আয়োজন। নিজেদের মতো করে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ২০২০ সালকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশিরাও। রাত বারোটা এক মিনিটেই শুরু হয় থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ভোরের আবির্ভাব। আনন্দ আর শান্তির বার্তা নিয়ে পূর্ব আকাশে কুয়াশা ভেদ করে উঠে আসে নতুন দিনের সূর্য। জানান দেয় ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিনের।
অন্যদিকে রঙ-বেরঙের ফানুস উড়িয়ে, আলোকসজ্জা ও আতশবাজির মাধ্যমে ইংরেজি নববর্ষ-২০২০ বরণ করেছে রাজধানীবাসী। বুধবার রাত ১২টা এক মিনিটে আতশবাজি ও ফানুসে আলোকিত হয়ে ওঠে রাজধানীর আকাশ। প্রতিটি বাড়ির ছাদে ছাদে রঙ- বেরঙের ফানুস উড়িয়ে নতুন বছরকে বরণ করছে আবালবৃদ্ধবনিতা। আনন্দের জোয়ারে ভাসে রাজধানীবাসী। এদিকে কোনো বাধাই আনন্দতে ভাগ বসাতে পারেনি রাজধানীবাসীর। প্রতিটি ছাদে ছাদে চলে বারবি কিউ পার্টি। উৎসবে জোয়ারে শীত কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। পুরনো গ্লানি ভুলে নতুন বছরকে বরণ করতে প্রতিটি ছাদে ছাদে চলে উৎসবের প্রতিযোগিতা।
নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রাজধানী
ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় রাজধানী। রাস্তার প্রতিটি মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে আইন-শৃংখলা বাহিনীর চেকপোস্ট। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, উত্তরা, নিউমার্কেটসহ রাজধানীজুড়ে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি সোয়াত সদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়। গুলশান-২ নম্বর গোল চত্বরে ডগ স্কোয়াডের পাশাপাশি পুলিশ-র্যাবের অত্যাধুনিক ভারি অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায়। এবার হাতিরঝিল, রমনা, টিএসসিসহ বিনোদন স্পষ্টগুলোতে লোক সমাগম দেখা যায়নি। সন্ধ্যার পর থেকে রাস্তায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি কমতে থাকে।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছেন, স্বতঃস্ফুর্তভাবে উৎসব পালনে রাজধানীর নিরাপত্তা ও আইন-শৃংখলার স্বার্থে রাস্তার মোড় ও ফ্লাইওভারসহ গুরুত্বর্পর্ণ স্থানে পুলিশ দায়িত্ব পালন করে। আতশবাজি, অশোভন আচরণ, বেপরোয়া গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানোর মাধ্যমে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা বা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি যেন না হয় সে জন্য সক্রিয় ছিল পুলিশ। পাপশাপাশি পুলিশের টহল ও সাদা পোষাকে গোয়েন্দা পুলিশ দায়িত্ব পালন করে। তবে সকলের সহযোগিতায় ইংরেজি নববর্ষ পালন করা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নতুন বছরের প্রথম প্রহরে রাজধানীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আনন্দমুখর হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে আনন্দে মেতে ওঠে। উৎসবের জোয়ারে শীত কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
র্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ বলেন, ইংরেজি নববর্ষ ‘থার্টি ফার্স্ট’ নাইট উদযাপনে সবাই শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব করেছেন। সারাদেশে কোথাও কোনো খারাপ খবর ছিল না। দেশ শান্তিপূর্ণ রয়েছে, সুশৃংখল রয়েছে। যে যেখানে উৎসব করেছেন সবাই শান্তিপূর্ণভাবেই করেছেন। অতিরিক্ত নিরাপত্তায় উৎসব বিঘিœত হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো উৎসব বিঘিœত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। উৎসব যাতে আরও নিরাপদ হয়, সুশৃংখল হয়, সে ব্যাপারে আমরা কাজ করেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।