Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডেঙ্গুর পর দক্ষিণাঞ্চলে ঠাণ্ডাজনিত রোগ সহ ডায়রিয়া আক্রান্ত কুড়ি হাজার

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২০, ৫:১৪ পিএম

বিভিন্ন মাত্রার শৈত্য প্রবাহের সাথে ঘন কুয়াশায় দক্ষিণাঞ্চলে ঠাণ্ডাজনিত নানাবিধ রোগব্যাধি সহ ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। বিদায়ী বছরের শেষ ভাগে ডেঙ্গু জ্বর সারা দেশের সাথে দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবনেও যথেষ্ট বিরূপ প্রভাব ফেলে। সরকারী-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সাথে এ রোগে মৃত্যুও হয় প্রায় কুড়ি জনের। কিন্তু ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে যাবার সাথেই ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগ জেঁকে বসেছে দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিটি এলাকায়। সরকারীÑবেসরকারি সব হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন গড়ে অর্ধ শতাধিক রোগী ভর্তি হচ্ছে নিউমোনিয়া সহ ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে। এরই সাথে বাড়ছে ডায়রিয়া। পানিবাহিত এ রোগে আক্রান্ত রোগী খুব দ্রুত অধিকতর কাবু হয়ে পড়ছে ঠন্ডাজনিত কারণে। বরিশালে তাপমাত্রার পারদ ইতোমধ্যে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ডিগ্রী সেলসিয়াস নিচে, ১০. ২ ডিগ্রীতে নেমেছে।

তবে এসব পরিসংখ্যানের বাইরেও বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরো বিপুল সংখ্যক ঠাণ্ডাজনিত রোগাক্রান্ত ছাড়াও ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু ভর্তি হয়েছে। সে হিসেবে বিভাগে ডায়রিয়া ও ঠন্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা সব মিলিয়ে ২০ হাজারেরও বেশী হবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্রের মতে, গত দু মাসে দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলার ৪২টি উপজেলায় ডায়রিয়া আক্রান্ত ছয় সহশ্রাধীক মানুষ সরকারী হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন। এসময়ে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগাক্রান্ত আরো প্রায় দুহাজার বিভিন্ন বয়সি মানুষ সরকারী হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়। তবে এধরনের রোগীর মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশী বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে একজনের মৃত্যুও ঘটেছে। তবে সরকারী হাসপাতালে ডায়রিয়া অক্রান্ত কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য প্রশাসন।

বর্তমান পরিস্থিতিকে কিছুটা স্পর্ষকাতর মনে করে স্বাস্থ্য প্রশাসন থেকে দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলা-উপজেলাতে ৪১১টি মেডিকেল টিম গঠনের কথাও বলা হয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের অফিস থেকে। তবে ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগের বাইরেও গত দু মাসে দক্ষিণাঞ্চলের সরকারী হাসপাতালগুলোতে আরো ৭ সহশ্রাধীক মানুষ ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু ঘটেছে ৮জনের।

বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক-স্বাস্থ্য ডাঃ আবদুর রহিম বুধবার ইনকিলাবকে জানান, আমরা প্রতিটি স্তরে রোগীদের খোজ খবর রাখছি। উপজেলা থেকে জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত আইভি স্যালইন ও ওরাল স্যালাইন ছাড়াও প্রয়োজনীয় সব ওষুধ মজুদ রয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক সহ ইউনিয়ন পর্যায়ের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। তবে তিনি বর্তমান প্রেক্ষাপটে সকলকে ঠান্ডা এড়িয়ে চলারও পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষ করে শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে বলেছেন ডাঃ রহিম। তার মতে, কোন অবস্থাতেই ঠান্ডা লাগান যাবেনা। প্রয়োজনে গরম পানি পান করা সহ উষ্ঞ পানিতে গোসল করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তবে যেকোন শারিরিক সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকেরও পরামর্শ গ্রহনের তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালক।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দক্ষিণাঞ্চল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ