পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী ঘোষণার পাশাপাশি কাউন্সিলর পদে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। যাতে অনুপ্রবেশ, ক্যাসিনো, দখল ও চাঁদাবাজির ঘটনায় জড়িত এমন অনেককেই কাউন্সিলর প্রার্থী করা হয়েছে। এছাড়াও শুদ্ধি অভিযানে যেসব কাউন্সিলরদের নামে বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল তাদের অনেককেই পুনরায় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। ফলে ওয়ার্ডগুলোতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। গত রোববার দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কাউন্সিলর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৬৯ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাসিবুর রহমান হাসু ১৯৮৬ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভা মঞ্চে আগুন দিয়েছিলেন। সে সময় জাতীয় পার্টির যুব সংগঠন যুবসংহতির নেতা ছিলেন তিনি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় পরিবহন চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে।
ডিএসসিসি’র ৬৫ নম্বরে শামসুদ্দিন ভূঁইয়া সেন্টু এক সময় বিএনপির এমপি সালাউদ্দিনের খুবই ঘনিষ্ট লোক ছিলেন। সব সময় সালাউদ্দিনের গাড়িতেই তাকে দেখা যেত। তৎকালীন ঢাকা-৪ বর্তমানের ঢাকা ৫ এর সকল টেন্টডার তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে তিনি ঘোল পাল্টে আওয়ামী লীগ বনে যান। সেন্টু দলের মনোনয়ন পাওয়ায় ওই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের ৬জন প্রার্থী এবং যাত্রাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মুন্না গতকাল সকালে একত্রে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে চিঠি দিয়েছেন প্রার্থী পরিবর্তন করে দলের যে কোন একজনকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য।
৬৮ নম্বরে মাহমুদুল হাসান পলিন এর পরিবার বিএনপি-জামায়াতপন্থি, তিনি এক সময় যুবদল করতেন। টাকার বিনিময়ে যুবলীগের ৬৮ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখে প্রচার রয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসেম হাসুর বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের মারধর, প্লট ও বাড়ি দখল, অবৈধ স্থাপনা, হত্যাচেষ্টাসহ নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও অনেক প্রার্থীর নাম আওয়ামী লীগের ঘোষিত কাউন্সিলরদের মনোনয়ন লিস্টে দেখে অবাক হয়েছেন দলের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী। জানা যায়, নানা অপরাধে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমের শিরোনাম হন ডিএনসিসির ৪ নম্বরে জামাল মোস্তফা, ২৭ নম্বরে ফরিদুর রহমান খান, ২৯ নম্বরে নুরুল ইসলাম রতন। তবে এদের আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২০ নম্বর ওয়ার্ডে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ক্যাসিনোকা-সহ নানা কারণে বিতর্কিত কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন রতনকে, ৫ নম্বরে আশরাফুজ্জামান, ৬ নম্বরে সিরাজুল ইসলাম ভাট্টি, ৭ নম্বরে আবদুল বাসিত খান, ১০ নম্বরে মারুফ আহমেদ মনসুর, ৩০ নম্বরে মোহাম্মদ হাসান, ৪৩ নম্বরে আরিফ হোসেন ছোটন, ৫১ নম্বরে কাজী হাবিবুর রহমান হাবু, ৫৪ নম্বরে মো. মাসুদ, ৫৫ নম্বরে নূরে আলম, ৫৬ নম্বরে মোহাম্মদ হোসেন, ৫৯ নম্বরে আকাশ কুমার ভৌমিক।
এদিকে মনোনয়ন পাওয়ার পরও আবার বাদ পড়েছেন ডিএনসিসির ১২ নম্বরে মুরাদ হোসেন। নতুন মনোনয়ন পেয়েছেন ইকবাল হোসেন তিতু। ৪১ নম্বরে আব্দুল মতিন, নতুন মনোনয়ন পেয়েছেন সফিকুল ইসলাম। ডিএসসিসিতে ১২ নম্বরে মামুনুর রশিদ শুভ্র, মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর গোলাম আশরাফ তালুকদার। ৩৩ নম্বরে ইলিয়াস রশিদ বাদ, মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর আউয়াল হোসেন।
এছাড়াও সেসব ওয়ার্ডের প্রার্থী বিতর্ক রয়েছে যেকোন সময় পরিবর্তন হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।