Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

১৯৪৭ সালের দ্বিজাতিতত্ত্ব ২০১৯ সালে এসে বাস্তবায়ন করছেন নরেন্দ্র মোদি

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

১৯৪৭ সালে ভারত ভেঙে যখন দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র হলো, অর্থাৎ ইন্ডিয়া এবং পাকিস্তান হলো, তখন ভারত ও পাকিস্তানের সিংহভাগ মানুষ বলল, ভারত বিভক্তির ফলে দ্বিজাতিতত্তে¡র যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অর্থাৎ ভারতে একটি নয়, দুইটি জাতি বাস করে। এই দুইটি জাতি হলো, হিন্দু এবং মুসলমান। কিন্তু মি. গান্ধী, সর্দার প্যাটেল, পন্ডিত নেহরু প্রমুখ নেতারা বলতেন, ভারতবর্ষে একটি জাতিই আছে। আর সেটা হলো, ভারতীয় কিন্তু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে কংগ্রেস নেতাদের যুক্তির অসারত্ব প্রমাণিত হলো। তারপরেও দেখা যায় যে, ভারত ও পূর্ব বাংলার (পরে পূর্ব পাকিস্তান) একটি গোষ্ঠি দ্বিজাতিতত্ত¡ মেনে নিতে চাইছেন না। তাঁরা বলছেন, দ্বিজাতি তত্তে¡র জন্য ভারত ভাগ হয়নি, চক্রান্ত করে বৃটিশের সাথে যোগসাজশ করে ভারতকে দ্বিখন্ডিত করা হয়েছে।

কিন্তু ভারবর্ষের সব মানুষ যে এক জাতি নয়, সেটি আবার প্রমাণিত হলো ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে। এখানে একটি বিষয় স্মরণ করার আছে, সেটি হলো, পন্ডিত নেহরুসহ ভারতীয়রা বাংলার বিভক্তি মানতে চাচ্ছিলেন না। তাঁরা চাচ্ছিলেন অখন্ড বাংলা। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, নেতাজী সুভাস বসুর ভাই শরৎচন্দ্র বসু এবং আল্লামা আবুল হাশিমও অখন্ড বাংলা চাচ্ছিলেন। এখানে কংগ্রেসের সাথে সোহরাওয়ার্দী, শরৎ বসুর চাওয়ার একটি সুস্পষ্ট প্রভেদ ছিলো। কংগ্রেস চাচ্ছিলো যে বাংলা অখন্ড থাকতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে সেই অখন্ড বাংলাকে ভারতবর্ষে যোগ দিতে হবে। মি. জিন্নাহসহ মুসলিম লীগের নেতারা বললেন যে, অখন্ড বাংলা মুসলিম লীগ মেনে নেবে। সেক্ষেত্রে অখন্ড বাংলা বা বৃহত্তর বাংলাকে স্বাধীন থাকতে হবে। নেহরুর বক্তব্য ছিলো, যদি বৃহত্তর বাংলা ভারতে যোগদান না করে তাহলে বাংলা বরং বিভক্ত বা খন্ডিত হোক। বৃটিশ ভাইসরয় লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন নেহরুকে সমর্থন করেন। ‘মাউন্ট ব্যাটেন এ্যান্ড দি পার্টিশন অব ইন্ডিয়া’ গ্রন্থে দেখা যায় যে, কংগ্রেসের এক শ্রেণীর নেতা মি. নেহরুর নিকট জানতে চান যে, তিনি কেনো বাংলার বিভক্তি মেনে নিলেন? উত্তরে নেহরু বলেন যে, বাংলার পশ্চিমাঞ্চল তো ভারতের সাথে থেকেই যাচ্ছে। পূর্বাঞ্চল (অর্থাৎ পূর্ববঙ্গ বা বাংলাদেশ) অর্থনৈতিকভাবে টেকসই হচ্ছে না। বাংলা ভাগের (১৯৪৭) ২৫ বছরের মধ্যে পূর্ববঙ্গ পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে যাবে। আলাদা হওয়ার পরবর্তী ২৫ বছরের মধ্যে পূর্ববঙ্গ (বর্তমান বাংলাদেশ) ভারতের সাথে আবার যোগ দেবে।

নেহরুর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, স্বাধীনতার ২৪ বছরের মাথায় পূর্ববঙ্গ পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন গেছে। কিন্তু পরবর্তী ২৫ বছরের মধ্যে ভারতে যোগ দেয় নাই। বরং পরবর্তী ৪৯ বছর (২০১৮ সাল) পর্যন্ত স্বাধীন দেশ হিসাবে টিকে আছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া প্রমাণ করে যে ভারত কখনোই একদেশ বা একজাতি ছিলো না। থাকলে ‘৭১ সালে পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে বাংলাদেশ ভারতে যোগ দিতো, স্বাধীন দেশ হিসাবে অস্তিত্ব বজায় রাখতো না। একই কথা কাশ্মীরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যদি মাত্র ৮০ লক্ষ কাশ্মীরী মুসলমানকে দাবিয়ে রাখার জন্য ৪ লক্ষ সৈন্য মোতায়েন না রাখতো তাহলে কাশ্মীর ৫/৬ দশক আগেই হয় স্বাধীন হতো অথবা পাকিস্তানে যোগ দিতো। অতি সম্প্রতি ভারতীয় শাসনতন্ত্রের ৩৭০ ধারা এবং ৩৫(ক) বিলোপ করে কাশ্মীরের স্বায়ত্ত¡শাসন হরণ করার পর কাশ্মীরের স্বাধীনতার আওয়াজ বুলন্দ হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আরেকবার প্রমাণিত হয়েছে যে, ভারত একজাতি নয়, তিন জাতি রয়েছে। সেগুলি হলো ভারতীয়, পাকিস্তানী এবং বাংলাদেশি। যদি কাশ্মীরীদের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দেওয়া হয় তাহলে প্রমাণ হতো ভারতে তিন জাতি নয়, ভারতে চার জাতি রয়েছে।

দুই
আমার ব্যক্তিগত মতে, ভারতে দ্বিজাতি নয়, বহুজাতি রয়েছে। উত্তরপূর্ব ভারতের ৭টি প্রদেশ বা রাজ্যই স্বাধীন হওয়ার জন্য রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম করেছে নাগা, মিজোরাম, মনিপুরী, অসমীয়া, মেঘালয়, অরুণাচল প্রভৃতি রাজ্যের স্বাধীনতা সংগ্রামকে ভারতের বিশাল সামরিক বাহিনী দিয়ে দাবিয়ে রাখা হয়েছে। পাঞ্জাবে শিখ সম্প্রদায়ের নেতা সন্তু জার্নাল সিং ভিন্দ্রেনওয়ালকে তার ৭৫০ জন অনুগামী যোদ্ধাসহ হত্যা করা হয়েছে। সেই ম্যাসাকারের বদলা নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর দুই দেহরক্ষী বিয়ান্ত সিং এবং শতবন্ত সিং। ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্টের পূর্বে পাঞ্জাব এক এবং অখন্ড ছিলো। কিন্তু কংগ্রেস এবং বৃটিশের যৌথ চক্রান্তে পূর্বে পাঞ্জাবের হিন্দু এবং শিখরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুসলিম পাঞ্জাবীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে। এই তিন সম্প্রদায়ের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের ফলে পাঞ্জাব বিভক্ত হয় এবং পাঞ্জাবের বৃহত্তর অংশ, অর্থাৎ পাঞ্জাবের মুসলিম প্রধান এলাকা পাকিস্তানে জয়েন করে। পাকিস্তানের অংশটির নাম হয় পশ্চিম পাঞ্জাব এবং ভারতীয় অংশের না হয় পূর্ব পাঞ্জাব। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ভারতীয় পাঞ্জাবে রয়েছে প্রধানত দুইটি ধর্মীয় সম্প্রদায় একটি শিখ এবং অপরটি হিন্দু। ১৯৪৭ সালের ২৫ বছর পর তাদের বিলম্বিত বোধদয় হয় যে তারা ৪৭ সালে হিন্দুদের সাথে মিলে ভারতে জয়েন করে ভুল করেছে। সেই ভুল সংশোধনের জন্য তারা অর্থাৎ শিখরা খালিস্তান নামে শিখদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্রের আন্দোলন করে। কিন্তু পাঞ্জাব, কাশ্মীর বা উত্তর পূর্ব ভারতের ৭টি রাজ্য ভৌগলিক দিক দিয়ে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। তাছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের মতো বিশাল ও শক্তিশালী দেশ ভারতের ৯টি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পেছনে ছিলোনা। স্বাধীনতা সংগ্রামে স্বাধীনতা যোদ্ধাদের স্যাংকচুয়ারী বা আশ্রয়ের প্রয়োজন হয়। তাদের সেগুলো ছিলোনা। এসব কারণে তাদের স্বাধীনতার আকাঙ্খা পূরণ হয় নাই।

তিন
বলছিলাম দ্বিজাতি তত্তে¡র কথা। কংগ্রেস নেতারা দ্বিজাতি তত্ত¡ মেনে না নিলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এবং তাদের গেরুয়া পার্টি দ্বিজাতি তত্ত¡ শুধু মেনে নেননি, সেটি রীতিমতো কার্যকর করতে দলীয়ভাবে যেমন মাঠে নেমেছেন তেমনি সরকারিভাবেও সেটা বাস্তবায়িত করার জন্য প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করছেন। আর সেটি বাস্তবায়নের প্রধান হাতিয়ার হয়েছে নাগরিক পঞ্জী এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। এ সম্পর্কে শুধু বাংলাদেশেই নয়, খোদ ভারতের পত্র পত্রিকা এবং টেলিভিশনের বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। শুধু ভারত নয়, পাশ্চাত্যের গুরুত্বপূর্ণ প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতেও এসম্পর্কে সারগর্ভ এবং তথ্যবহুল আলোচনা হচ্ছে। এতসব লেখার মধ্যে একটি লেখা আমার মনযোগ আকর্ষণ করেছে। আর সেটি হলো কংগ্রেস আমলের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, বিশিষ্ট লেখক ও চিন্তাবিদ শশী থারুর । তিনি লিখেছেন, নাগরিকত্ব বিল বা বা ক্যাব নামের একটি বিতর্কিত আইন সংসদে পাশ হয়েছে। এই আইনের মাধ্যমে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা কোনো ব্যক্তি যদি নিজেকে অমুসলিম প্রমাণ করতে পারে তাহলে তাকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আইনটিতে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, ঐ তিনটি দেশ থেকে আসা কোনো মুসলমানকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। ভারতীয় শাসনতন্ত্রের বহুত্ববাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতিকে এই আইন লঙ্ঘন করেছে। ভারত বিভক্তির সময় পন্ডিত নেহরু ঘোষণা করেছিলেন যে, ধর্ম একটি জাতির ভিত্তি হতে পারে না। সেই মূলনীতির বিরোধীতা করে মোদি সরকার এখন হিন্দুত্ববাদ নিয়ে উন্মাদনায় মেতে উঠেছেন। এছাড়া নাগরিক পঞ্জী আরো ভয়াবহ। ভারতে চৌদ্দপুরুষ ধরে বসবাসকারী যেসব মুসলমান নাগরিক তাদের নাগরিকত্বের সম্পর্কে উপযুক্ত দলিলপত্র হাজির করতে না পারলে তারা ভারতীয় নাগরিকত্ব হারাবেন। অমুসলিমরা প্রমাণপত্র দেখাতে না পারলে তাদের কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু মুসলমান হলেই তাদের নাগরিকত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। শশী থারুর বলেছেন যে, ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে ভারতের মাটিকে ভাগ করা হয়েছিলো।

সবচেয়ে উল্লেখ যোগ্য ব্যাপার হলো এই যে, আসামে যে কারণে নাগরিক পঞ্জী এবং ক্যাবের বিরোধীতা করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি বা উত্তর প্রদেশে কিন্তু সেই একই কারণে এর বিরোধীতা করা হচ্ছে না। আসামীদের ভয়, বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক হিন্দু আসামে প্রবেশ করেছে। তাদেরকে এখন নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। উত্তর প্রদেশ, দিল্লী বা পশ্চিমবঙ্গের ভয়, সেখানকার মুসলমানরা নাগরিকত্ব হারাবেন।

নরেন্দ্র মোদি তাঁর প্রথম মেয়াদে ভারতকে ‘হিন্দু ভারত’ বানানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি মুসলিম বিভেদকে সামনে এনেছেন। নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় মেয়াদের মাত্র ৮ মাস পূরণ হয়েছে। গণআন্দোলনে তিনি যদি ক্ষমতাচ্যুত না হন তাহলে আরো ৪ বছর ৪ মাস তিনি এবং অমিত শাহ ক্ষমতায় আছেন। মাত্র ৮ মাসেই তিনি চরম মুসলিম বিরোধী ৫ টি পদক্ষেপ নিয়েছেন। এগুলো হলো (১) মুসলিম শরীআহ্র তিন তালাক বাতিল । (২) গুঁড়িয়ে দেওয়া বাবরি মসজিদের স্থলে রামমন্দির নির্মাণের কাজকে এগিয়ে নেওয়া। (৩) জম্মু ও কাশ্মীরের সায়ত্ত¡শাসন ছিনিয়ে নেওয়া এবং রাজ্যটিকে কাশ্মীর ও লাদাখ নামে দ্বিখন্ডিত করা । (৪) নাগরিক পঞ্জী করা এবং (৫) নাগরিকত্ব আইন (ক্যাব) পাশ করা।

এই ৫টি পদক্ষেপই মুসলিম বিরোধী পদক্ষেপ। মুসলিম উম্মাহ হিসাবে এই ৫টি পদক্ষেপই আমাদেরকে আঘাত করে। তার মধ্যে নাগরিক পঞ্জী এবং ক্যাব বা নাগরিকত্ব আইন বাংলাদেশকে সরাসরি আঘাত করে। সুতরাং মোদি এবং অমিত শাহরা যতই বলুন না কেন যে এগুলো তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা এবং বাংলাদেশের চিন্তিত হওয়ার কারণ নাই, কঠোর বাস্তব হলো এই যে এই দুটি পদক্ষেপের ব্যাপারে, বাংলাদেশ উদাসীন থাকতে পারেন। দুর্ভাগ্যের বিষয়, এই সব মুসলিম বিরোধী জলন্ত ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের বিশেষ করে বিরোধীদল সমূহের যতখানি সোচ্চার হওয়া উচিত ছিলো তার সিকি ভাগও তারা হয় নাই। ফেনী নদীর পানি ভারতকে দেওয়ার বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে প্রাণ হারাতে হলো। নাগরিক পঞ্জী এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরুকে তার সহযাত্রীসহ ডাকসু অফিসের মধ্যে প্রচন্ড মার খেতে হলো। কিন্তু বিরোধীদল, বিশেষ করে বিএনপি একটি বিবৃতি দিয়ে অথবা একটি সংবাদ সম্মেলন করে দায় সেরেছে। বিরোধীদলের এমন দায়সারা আচরণ দেখে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার এক তরুণ ইঞ্জিনিয়ার বললেন, বিএনপিকে মনে হচ্ছে, একটি খোঁড়া ঘোড়া। অস্ট্রেলিয়ার পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে চাকরি করেন এমন একজন প্রকৌশলী বললেন, আজ বিএনপি মিছিল করলে দেড়শত লোকও হয় না। অথচ এরা দুজনেই বিএনপির গোঁড়া সমর্থক।

শেষ করার আগে বলতে চাই, বিজেপি সরকার ২০১৯ সালে এসে সজ্ঞানে অথবা অজান্তে প্রমাণ করলো যে, ১৯৪৭ সালের ভারত বিভক্তির ভিত্তি যে ছিলো দ্বিজাতিতত্ত¡ সেটি সঠিক ছিলো। তাই ৭২ বছর পর তিনি আবার নতুন করে সেটি বাস্তবায়িত করছেন।
[email protected]



 

Show all comments
  • Nurul Amin ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:৩২ এএম says : 0
    এক জন নরেন্দ্র মোদী একটি জাতিকে ধংস করতে যথেষ্ট। আসামে পশ্চিমবঙ্গে, কাস্মীররে, ও উত্তরপ্রদেশে সব জায়গাতেই জাতিগত, ধর্মীয়, মারি কোথায় শান্তি নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Azom Pavel ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 0
    রাত যত গভীর হয় ভোর তত নিকটে... ঠিক তেমনি যত নির্যাতন হবে স্বাধীনতা তত নিকটে
    Total Reply(0) Reply
  • Syed Shahid Uddin ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:৩৪ এএম says : 0
    India is following a terrestrial policy on Kashmir. India will do nothing to protect the economy and the happiness of the Kashmiri people. Their main point is to maintain their occupation.
    Total Reply(0) Reply
  • Poran Hossain ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:৩৪ এএম says : 0
    কিছু কিছু অারএসএস মার্কা ষন্ডা কোন কিছুই শুনতে চাইনা। তারা মনে করে তাদের সব কিছুর জন্য মুসলমানরা দায়ী। তাদের নেতা অর্থনৈতিক উন্নয়ন না করতে পেরে জনগণকে মুসলমান মেরে ধর্মীয় বিষ খাওয়াচ্ছে সেটা তারা বুঝতে পারলেও এর দায় মুসলমানদের ঘারে চাপাচ্ছে। তবে অালো অাসছে, ভারতবাসী জেগেছে। গোমুত্র অার গোবরের সাথেতো বেশী দিন থাকা যায় না? গোমুত্র অার গোবর দিয়ে পেট চলে না!!!
    Total Reply(0) Reply
  • Rais Uddin ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:৩৬ এএম says : 0
    ভারতীয় উপমহাদেশে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকতে চলেছেন নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী। দেখা যাক প্রতিবাদীরা কী করতে পারেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Ahmed Rakib Ahsan ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:৩৬ এএম says : 0
    বাংলাদেশ যে ফ্রিতে রোড ট্রানজিট ও ফেনী নদীর পানি দেওয়া বন্ধ করা উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • Faruq Shikdar ১ জানুয়ারি, ২০২০, ৭:৫৬ এএম says : 0
    নাগরিক আইন সংশুধনের নামে ভারতের জল্লাদ সরকার মুসলমানদের ভারত থেকে বিতারিত করার জন্যে যে এন.আর.সি আইন পাশ করিয়েছেন তার জন্যে আমরা মুসলমানরা ভারতের এই কশাই সরকার নরেন্দ্রমুদির পতন চাই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন