মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত মহাসাগর ও ওমান উপসাগরে যৌথ নৌমহড়া শুরু করেছে ইরান, রাশিয়া ও চীন। শুক্রবার সকালে ‘মেরিন সিকিউরিটি বেল্ট’ নামের চার দিনের ওই মহড়া শুরু করে ওই তিন দেশের নৌবাহিনী। ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম প্রেস টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ইরানের নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল হোসাইন খানজাদি বলেছেন, ওমান উপসাগরের চাহাবাহার বন্দর থেকে যৌথ নৌমহড়া শুরু হয়েছে। আঞ্চলিক নৌপথের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এই মহড়া শুরু হয়। চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক মহড়ায় এই প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছে তেহরান। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সিনিয়র মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুলফজল শেকারচি বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যে ওমান সাগর ও ভারত মহাসাগর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশ্বের বহু দেশের বাণিজ্যিক জাহাজ এই রুট দিয়ে চলাচল করে। কাজেই এখানকার নিরাপত্তা রক্ষার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ইরানের সামরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়কে এ মহড়া আয়োজনের আরেকটি লক্ষ্য বলে বর্ণনা করেন জেনারেল শেকারচি। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও জলদস্যুদের দমন করা হবে এই মহড়ার তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, রাশিয়া, ইরান ও চীনের যৌথ সামরিক মহড়া যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সিন রবার্টসন। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, এ নৌমহড়া সত্ত্বেও ওয়াশিংটন তার মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে আন্তর্জাতিক পানিসীমা ও প্রণালীগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার থেকে ভারত মহাসাগর ও ওমান সাগরে চার দিনের নৌমহড়া শুরু করেছে চীন, রাশিয়া ও ইরান। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও নৌদস্যুদের দমন করাই হবে এই মহড়ার গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য। চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক মহড়ায় এই প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছে তেহরান। সিন রবার্টসন বলেন, এ মহড়া সত্ত্বেও আমেরিকা তার মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে আন্তর্জাতিক পানিসীমা ও প্রণালীগুলোর নিরাপত্তা রক্ষা করবে। বিশ্বের বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পেন্টাগন। তিনি আরও বলেছেন, ‘আরব সাগরে রাশিয়া, ইরান ও চীনের বহুমুখী মহড়ার বিষয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি। আমরা এটা পর্যবেক্ষণ করছি। আন্তর্জাতিক পানিপথে নৌ চলাচলের স্বাধীনতা এবং বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে মিত্রদের সঙ্গে সহযোগিতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে ওয়াশিংটন।’ এর আগে বৃহস্পতিবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উ কিয়ান বলেন, ইরান, চীন ও রাশিয়ার নৌবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং এ মহড়া থেকে সদিচ্ছার বার্তা পাঠানো হবে। চীন এ মহড়ায় ডি০৫২ মডেলের একটি ডেস্ট্রয়ার পাঠিয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, বাল্টিক সাগরে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রাখা তিনটি রুশ রণতরী ওমান সাগরের যৌথ নৌমহড়ায় অংশ নেবে। প্রেসটিভি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।