Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেবি তরমুজ চাষে সাফল্য

মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীন, সুবর্ণচর (নোয়াখালী) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

বড় আকৃতির ফল তরমুজ। তরমুজের ওজনের বেশির ভাগই পানি। পানির পরিমাণ বেশি হয়ায় তরমুজ পানি শূন্যতা দূর করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। নিয়মিত তরমুজ খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে, চুলও সুন্দর হয়। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায়। এ জন্যেই বাংলাদেশের কৃষক ও ভোক্তাদের মধ্যে ফলটির উৎপাদন বৃদ্ধি ও ক্রেতার সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। প্রচলিত অনেক প্রজাতির তরমুজের মধ্যে বারোমাসি ‘বেবি তরমুজ’ অন্যতম। মাচা পদ্ধতিতে ‘বেবি তরমুজ’ চাষ করে সাফল্য অর্জন করে এলাকার কৃষকদের মনে আশা জাগিয়েছেন সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের মোজাম্মেল মার্কেট এলাকার আছিয়া খাতুন। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের অর্থায়ন এবং সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সার্বিক সহযোগিতায় ১০ শতাংশ জমিতে মাচা পদ্ধতিতে ইয়েলো হানি এবং ইয়েলো ড্রাগন জাতের বেবি তরমুজ চাষ শুরু করেন আছিয়া। প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রতিকূলতায় এ জাতের তরমুজের কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা না থাকায় সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি।

সরেজমিনে জানা যায়, চাষি আছিয়া বলেন, সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় বেবি তরমুজের চাষ শুরু করেন। প্রথমে আশ্চর্য মনে হলেও মাচা পদ্ধতি এখন খুব ভালো লাগে। দেশি তরমুজ চাষের অর্ধেক খরচ এবং ফলন নষ্ট হবার কোনো সম্ভাবনা নেই বেবি তরমুজে। তাকে দেখে বেবি তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন এলাকার আরো অনেকে। সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর বায়েজিদ গ্রামের বেবি তরমুজ চাষি মো. সেলিম জানান, বেবি তরমুজ চাষে ১০ শতাংশ জমিতে তার খরচ হয়েছে ৫ হাজার টাকা। প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি করলে ৩৫-৪০ হাজার টাকা বিক্রি সম্ভব। এ মৌসুমে তরমুজে পরিমাণ মতো জায়গায় খরচ হবে ১০-১২ হাজার টাকা। কৃষকদের বেবি তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করলে এতে কৃষকরা আরো লাভবান হবে বলে জানান এ কৃষক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা পেলে বেবি তরমুজ চাষে ব্যাপক সাফল্য আসবে বলে মনে করেন অনেকেই।
সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার কৃষি কর্মকর্তা কর্মকর্তা শিবব্রত ভৌমিক জানান, পরীক্ষামূলক ভাবে আমরা সুবর্ণচরের চর ক্লার্ক ও মোহাম্মদ পুর ইউনিয়নের মোট ৫টি স্থানে বেবি তরমুজ চাষ শুরু করি। এতে আমরা ভালো ফলন অর্জন করেছি। আগামীতে ব্যাপক হারে এর প্রসারের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরও জানান, এ তরমুজ সাধারণত লাল এবং হলুদ রঙের আর দেশীয় তরমুজের চেয়ে অত্যাধিক মিষ্টি। এছাড়াও মৌসুমের আগে হয়া ও এর চাহিদা বেশি থাকায় ভালো দাম পাওয়া যায়। যদি ভালো মতো পরিশ্রম আর সঠিক পরামর্শ পেয়ে থাকেন, তাহলে বেবি তরমুজ চাষে ব্যাপক লাভবান হবেন সুবর্ণচরের কৃষকরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাষ

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২৫ আগস্ট, ২০২২
২৩ জুলাই, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ