মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নতুন হাইপারসনিক অস্ত্রের দুনিয়ায় প্রবেশ করেছে রাশিয়া। এর মধ্যদিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে এ প্রযুক্তিতে ছাড়িয়ে গেছে দেশটি। এমনটিই জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। দাবি করেছেন, রাশিয়াই এখন একমাত্র রাষ্ট্র যার হাইপারসনিক অস্ত্র মোতায়েনের ক্ষমতা রয়েছে। এ খবর দিয়েছে এপি। রুশ সামরিক বাহিনীর বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় পুতিন বলেন, রাশিয়ার ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো দেশটি নতুন মাত্রার কোনো অস্ত্রের বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এটি হাইপারসনিক অস্ত্রের উৎপাদনে এত এগিয়ে গেছে যা পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য প্রতিযোগিতাগুলোতে দেখা যায়নি। পুতিন আরো উল্লেখ করেন, স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন পরমাণু বোমা আবিষ্কারে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে দেরি করে ফেলেছিলো। এ ছাড়া, কৌশলগত বোম্বার বিমান ও আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনেও পিছিয়ে গিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন- এমন দাবি করেন পুতিন। বলেন, রাশিয়া এখন আধুনিক ইতিহাসে এমন একটি স্থানে পৌঁছে গেছে যেখানে পৌঁছাতে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র। পৃথিবীর কোনো দেশেরই হাইপারসনিক অস্ত্র নেই। সেখানে আমাদের রয়েছে যেকোনো মহাদেশে হামলা চালানোর সক্ষমতাসমপন্ন হাইপারসনিক অস্ত্র। গত কয়েক বছর ধরেই হাইপারসনিক অস্ত্রের সক্ষমতা অর্জনে উঠেপড়ে লেগেছিল রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারও বিষয়টি গত আগস্ট মাসে স্বীকার করে নিয়েছিলেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন, আর কয়েক বছরের মধ্যেই এটি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অস্ত্রের তালিকায় যুক্ত হবে। এটি নিয়ে মার্কিন সেনাবাহিনী অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করছে বলেও জানান তিনি। যুক্তরাষ্ট্র বারবার দেশটির কংগ্রেসকে হুঁশিয়ার করেছে যে, রাশিয়া ও চীন এ অস্ত্র নিয়ে পুরোদমে কাজ করছে। এই অস্ত্র চিহ্নিত করা ও এ থেকে রক্ষা পাওয়া প্রায় অসম্ভব। মার্কিন কর্মকর্তারা মহাকাশে একটি সেন্সর স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা করছেন। এটি স্থাপিত হলে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো হাইপারসনিক হামলা হলে তা কিছু সময় পূর্বে সতর্কতা জানাতে পারবে। একইসঙ্গে মহাকাশেই কীভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র থামিয়ে দেয়া যায় সেটি নিয়েও কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। পুতিনের এমন দাবির পর এ নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। লেফটেন্যান্ট কর্নেল রবার্ট কারভার জানান, আমরা পুতিনের কথাটি শুনেছি। তবে এখনই এ নিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। পুতিন যদিও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে হাইপারসনিক কিনঝাল ক্ষেপণাস্ত্র রুশ সামরিক বাহিনীর সার্ভিসে নিয়ে আসা হয়েছে। রাশিয়ার হাতে আরো রয়েছে হাইপারসনিক আভাঙ্গার্ড ক্ষেপণাস্ত্র। এটি শব্দের ২০ গুণ গতিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালাতে সক্ষম। একইসঙ্গে এটি যেকোনো সময় তার রুট পরিবর্তন করতে সক্ষম। ফলে এটিকে চিহ্নিত করতে পারলেও ধ্বংস করা অসম্ভব। পুতিনের ভাষায়, এটি ভবিষ্যতের একটি অস্ত্র। এটি যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যূহ ধ্বংস করে হামলা চালাতে সক্ষম। এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।