মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বর্তমান বিশ্বের যোগাযোগের একমাত্র এবং বিকল্পহীন প্রধান মাধ্যম ইন্টারনেট। এবার এ ইন্টারনেটকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল রাশিয়া। দেশটি বিকল্প ইন্টার ব্যবস্থা তৈরি ও পরীক্ষায় সফল হয়েছে। রাশিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (বিবিসি) অনলাইন বিভাগ।
খবরে বলা হয়েছে, ইন্টারনেটের বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি ও সফল হওয়ার পর রাশিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিষয়টি প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে উপস্থাপন করতে যাচ্ছে। পুতিনের সিদ্ধান্তের পর সেটি বাস্তবায়ন করা হতে পার।
তবে ইন্টারনেটের বিকল্প ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করবে তার বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি রাশিয়া কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাজ্যের সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক অ্যালান উডওয়ার্ড বলেন, দুঃখজনকভাবে রাশিয়ার পদক্ষেপ ইন্টারনেট ভেঙে ফেলাকে ত্বরান্বিত করার আরেকটি উদ্যোগ। যেসব কর্তৃত্বপরায়ণ দেশ নাগরিকদের ওপর অধিক নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, তারা এ পথে হাঁটে। ইরান ও চীন তারই উদাহরণ। এর অর্থ হচ্ছে, দেশের মধ্যে কোথায় কী ঘটছে, সে বিষয়ে মানুষকে সঠিক তথ্য জানতে না দেওয়া। তাদের নিজেদের মতবাদের ওপর জনগণকে আটকে রাখা।
রাশিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিজেদের ইন্টারনেটে সাধারণ ব্যবহারকারীরা কোনো সমস্যায় পড়েননি। পৃথিবীর ইন্টারনেট ব্যবস্থার মূলত কোনো কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান নেই। নেটওয়ার্ক সচল রাখতে একটি দেশকে তার নিজের যন্ত্রপাতির ওপর যেমন নির্ভর করতে হয়, তেমনি বিদেশিদের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হয়।
সম্মিলিত এই প্রক্রিয়া সাগরতলের কেবল কিংবা স্যাটেলাইট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। যেখানে থাকে না কোনো সীমান্ত। অনলাইনের কল্যাণে পৃথিবীটা হয়ে যায় উন্মুক্ত। কয়েক মাস আগে কঙ্গো তাদের নির্বাচনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিল। এখন রাশিয়াও এমনটি করছে। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা আরও বড়।
নিজস্ব ইন্টারনেট ব্যবস্থার জন্য কঙ্গোর কোনো অবকাঠামো নেই। রাশিয়া কয়েক বছর ধরে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে সেই কাঠামো গড়েছে। একটি রাষ্ট্রের জন্য এটি কঠিনতম ঝুঁকির কাজ।
এ পলিসির কারণে রাশিয়ার সব ডোমেইন নেম সিস্টেম (ডিএনএস) সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রক্সি ডোমেইন নেম সিস্টেমে (ডিএনএস) যেতে বাধ্য হচ্ছে। অর্থাৎ সাধারণ আইএসপি দিয়ে সচল থাকা একটি ডিএনএস সার্ভার যুক্ত হয়েছে সরকারের ডিএনএস সার্ভারে ।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার এই পরিকল্পনাকে ইন্টারনেট ‘বিপ্লব’ বললেও পশ্চিমা বিশ্লেষকেরা বলছেন, ‘গণতন্ত্রকে রুদ্ধ’ করার ‘ভয়ংকর’ খেলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।