পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দেশে শিশু হত্যা, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, গৃহকর্মী শিশুর ওপর অত্যাচার এবং নবজাতক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার বেড়েছে। বিশেষ করে ধর্ষণের ঘটনা বেশি বেড়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৯০২ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, যা ২০১৮ সালের ১২ মাসে ছিল ৫৭১ জন শিশু। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে দেশে শিশু ধর্ষণ বেড়েছে ৫৯ শতাংশ, যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গতকাল রাজধানীর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সম্মেলন কক্ষে অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) আয়োজিত সংলাপে এসব তথ্য জানানো হয়। সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এএসডির প্রজেক্ট ম্যানেজার ইউ কে এম ফারহানা সুলতানা। ‘চাই শিশুর নিরাপদ জীবনের নিশ্চয়তা’ শীর্ষক ওই সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শিশু হত্যা, ধর্ষণ, যৌন হয়রানিসহ শিশুর ওপর নির্যাতন বন্ধে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিরা।
সংলাপে প্রধান অতিথি নাসিমা বেগম বলেন, শিশু অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি অনেক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে স্বাধীন দেশে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা গেলে আরো ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
সংলাপে উত্থাপিত মূল প্রবন্ধে বলা হয়, সুপারিশমালায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ‘কোনো শিশু পথে থাকবে না’ বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সকলকে একযোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সব মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে শিশুশ্রম বন্ধ ও শিক্ষার হার বাড়াতে শিক্ষা বাধ্যতামূলক আইন প্রণয়ন করতে হবে। শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থাগুলোর মধ্যে তথ্য সরবরাহ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে।
সংলাপে বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করেছিলেন। বর্তমান সরকারও আন্তরিক। কিন্তু দেশে অনেক আইন থাকলেও সেই আইনের যথাযথ প্রয়োগ নেই। তাই আগে আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে মনিটরিং জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়।
এএসডির নির্বাহী পরিচালক জামিল এইচ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংলাপে উৎস বাংলাদেশের মো. শফিকুল ইসলাম, এসওএস শিশু পল্লীর আজিজুর রহমান, এএসডির নির্বাহী সদস্য এ কে এম সাইফুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।