পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের বিভিন্ন চার্চে আগামী বুধবার উদযাপিত হবে। এ উপলক্ষে রাজধানীর সকল চার্চকে তিন ক্যাটাগরিতে (বড়, মাঝারি ও ছোট) বিভক্ত করে ইতোমধ্যে নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
বড়দিনের অনুষ্ঠানে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে ধর্মানুরাগীরা যাতে সুষ্ঠুভাবে চার্চসমূহে যাতায়াত করতে পারেন সে লক্ষ্যে কিছু নিরাপত্তা নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
নির্দেশনাবলীসমূহ হচ্ছে, চার্চের নিরাপত্তায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়েও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে হ্যান্ড ব্যাগ, ট্রলি ব্যাগ, বড় ভ্যানিটি ব্যাগ, পোটলা, দাহ্য পদার্থ, ছুরি, অস্ত্র, কাঁচি, ক্ষতিকারক তরল, ব্লেড, দিয়াশলাই, গ্যাসলাইট ইত্যাদি সাথে নিয়ে চার্চে প্রবেশ করা যাবে না। চার্চ কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে প্রতিটি চার্চে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করবেন। এক্ষেত্রে পুলিশ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। কর্তৃপক্ষ প্রতিটি চার্চে আর্মড ব্যান্ডসহ নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করবেন। যারা তল্লাশির সময় পুলিশকে সাহায্য করবেন। নারী দর্শনার্থীদের তল্লাশির জন্য নারী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে। চার্চ ও তার আশপাশের এলাকায় সন্দেহজনক কোন ব্যক্তি বা বস্তু পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিক নিকটস্থ পুলিশকে অবহিত করা হবে অথবা জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯-এ কল করতে বলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থার পাশাপাশি থাকবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে গান-বাজনা করা, আতশবাজি ফোটানো ও ডিজে পার্টি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। ঢাকা মহানগরীর চার্চ এলাকায় যত্রতত্র যানবাহন পার্কিং করে যানজট সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকুন। চার্চসমূহের আশপাশে কোন ধরণের ভাসমান দোকান ও হকার বসতে দেয়া হবে না।
ইভটিজিং প্রতিরোধে চার্চ এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় নিয়োজিত থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম। বড়দিনের অনুষ্ঠানে আগত দর্শনার্থীদেরকে পকেটমার, ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি ও মলমপার্টি সম্পর্কে সতর্ক হয়ে চলাচলের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নিন।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন নিরাপদে ও সুষ্ঠুভাবে উপযাপনের লক্ষ্যে উপরোক্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।