বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিস্ফোরক মামলার আসামি না ধরার জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ এবং ওই মামলায় সরাসরি হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠেছে কুমিল্লা-৮ আসনের সরকার দলীয় এমপির বিরুদ্ধে। গত রোববার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর মধ্যম আশ্রাফপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ স¤েলনে উল্লেখ করা হয়, কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার গালিমপুর হাইস্কুল মাঠে গত ২ অক্টোবর ফুটবল খেলায় বিজয়ী টিমের মিছিলকে কেন্দ্র করে লাকসামের বিজরা পশ্চিম বাজার এলাকায় দুইপক্ষের সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এঘটনায় অনেকেই আহত হয়। আবার কাউকে হত্যার চেষ্টাও চালানো হয়। বরুড়া বড়বাড়ি গ্রামের নাজমুল হাসান রিয়াজ ৩ অক্টোবর ২৬জনকে আসামি করে লাকসাম থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ধারায় এফআইআর করেন।
বরুড়ার গালিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাচ্চু মিয়ার বাসভবনে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদীর আইনজীবী ও একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন বাহার বলেন, মামলা দায়েরের আড়াই মাসের বেশি সময়েও পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করছেনা। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে মামলার বাদী ও সাক্ষীদের হুমকি, ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। লাকসাম থানার ওসি, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাথে আসামি গ্রেফতারের ব্যাপারে কথা বলতে গেলে তারা সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন আসামি না ধরার জন্য উপর মহলের চাপ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ওই আইনজীবী বলেন, উপর মহল মানেই বরুড়া আসনের এমপি নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল। তিনি সরাসরি এ মামলায় হস্তক্ষেপ করছেন। তিনি রাষ্ট্রের উঁচু পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি হয়ে যদি মামলায় হস্তক্ষেপ করেন তাহলে সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার পাবে কিভাবে। কেবল তাই নয়, তিনি এ মামলাকে কেন্দ্র করে তার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছেন। আমরা এ মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি এবং কোনরকম রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ যাতে এ মামলায় না পড়ে এজন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তাদের সদয় দৃষ্টি প্রত্যাশা করছি। সংবাদ সম্মেলনে বরুড়া উপজেলা ও গালিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এ মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে লাকসাম থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন উদ্দিন বলেন, আসামি না ধরার জন্য আমাদের ওপর কোন পলিট্রিক্যাল চাপ নেই। তবে আসামিদের বাড়ি বরুড়া উপজেলায়। আর মামলার বাদীও সেখানকার। ঘটনাটি ঘটেছে লাকসাম এলাকায়। মারপিট, বিস্ফোরকদ্রব্য ব্যবহার সবই ঘটেছে। তবে কারা ঘটিয়েছে এব্যাপারে বাদী এখনো পর্যন্ত প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী আনতে পারেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।