পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মালেক মল্লিক : ফাঁসিদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স মামলা শুনানির জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর ফি মাত্র তিনশ’ টাকা থেকে সবোর্চ্চ দুই হাজার টাকা। ২০০৬ সাল থেকে এই ফি বা সম্মানি নির্ধারণ করেছে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন সলিসিটর অফিস। কম ফি থাকার কারণে এসব মামলা পরিচালনায় অমনোযোগী থাকেন আইনজীবীরাও। অধিকাংশ মামলায় দায়সারা নীতি অবলম্বন করেন তারা। ফলে বিচারপ্রার্থীরা ন্যায়বিচার নিয়ে শঙ্কায় থাকেন। এ বিষয়ে সলিসিটির (সিনিয়র জেলা জজ) মো. মোজাম্মেল হক ইনকিলাবকে বলেন, মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবীদের ফি বা পারিশ্রমিক আইন মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে থাকেন। এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কিছুই নেই। তবে আইনজীবী ফি বাড়ানো প্রয়োজন বলেও মতামত দেন তিনি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বিচারিক আদালতে কোনো ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামির দ- কার্যকর করতে হলে হাইকোর্টের অনুমোদন নিতে হয়। এটি ডেথরেফারেন্স নামে পরিচিত। উচ্চ আদালতের নির্ধারিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শেষে আদালত রায় দেন। আর কোনো আসামি ডেথরেফারেন্স মামলার আপিল করতে অক্ষম হলে বা আপিল না করে তাহলে রাষ্ট্রপক্ষ ন্যায় বিচারের স্বার্থে আইনজীবী নিযুক্ত করে। এ আইনজীবীদের আইন মন্ত্রাণালয়ের অধীনে সলিসিটর অফিস নিয়োগ দেন। একই সঙ্গে এদের মামলা প্রতি ফি’ও নির্ধারণ করে। জানা যায়, প্রতিদিন শুনানির জন্য নির্ধারিত থাকে ৩শ’ টাকা থেকে সবোর্চ্চ দুই হাজার টাকা। অর্থাৎ শুনানি শেষ করতে এক মাস লাগলেও আইনজীবী ফি পাবেন সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা। আর একদিনে শেষ হলে তিনি পাবেন মাত্র ৩শ’ টাকা পারিশ্রমিক। যদিও ২০০৬ সালের আগে এই হার ছিলো আরো কম।
২০০৬ সালের ১৬ নভেম্বর সলিসিটর অফিস থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে এ বিষয়ে একটি স্মারক পাঠনো হয়। সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্ত স্টেট ডিফেন্স ল’ইয়ারদের দৈনিক শুনানি ফি-১শ’ ২০টাকার স্থলে ৩শ’ টাকা। এছাড়াও প্রতি মামলায় সবোর্চ্চ অনধিক ২ হাজার টাকা ফি পাবেন। ওই বছরেরই ১ ডিসেম্বর হতে এ নির্দেশ কার্যকর হয়। এই নিয়ম দীর্ঘ দিন যাবত চলে আসছে। এই বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেই। এ বিষয়ে চানতে চাইলে রাষ্ট্রনিযুক্ত অ্যাডভোকেট মো. শফিকুর রহমান কাজল বলেন, একজন আইনজীবী একটি মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে ৩শ’ টাকা পারিশ্রমিক পান। অথচ বর্তমান সময়ে একজন দিন মজুর সারাদিন কাজ করলে নি¤েœ ৫শ’ টাকা আয় করে। তিনি আরো বলেন, আইনজীবীরা সঠিকভাবে পারিশ্রমিক না পেলে কাজের প্রতি নিরুৎসাহিত হবেন এটাই স্বাভাবিক। তাই এ দিকে সরকারের নজর দেয়ার আহবান জানান এই আইনজীবী
জানা যায়, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ হত্যাকান্ডের ঘটনায় রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীদের ফি অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেলদের সমপর্যায়ে দেয়া হয়। এদের মাসিক বেতন এক লাখের বেশি বা লাখের কাছাকাছি। অথচ ডেথরেফারেন্স মামলায় রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীদের দেয়া হচ্ছে মাত্র তিনশত টাকা করে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা। মামলা পরিচালনায় আইনজীবীদের মধ্যে বৈষম্যমূলক রিটেইনার ফি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেক আইনজীবী। বিডিআর মামলা পরিচালনা করেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে এমন একজন জানালেন, তাদের জন্য ফি আরো বাড়ানো প্রয়োজন। এতে করে ওই আইনজীবীরা মামলায় আরো মনযোগী হবেন। বিচারপ্রার্থীরাও সঠিক সেবা পাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।