গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আজ আবারও ডাকসু ভিপি নুরের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতাকর্মীরা। এ সময় নুরের সাথে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কয়েকটি কলেজের কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছেন। ঘটনার প্রায় ৪৫ মিনিট পর নুরসহ আহত ছাত্রদের ডাকসু ভবন থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী।
ঘটনাটির দায় ভিপি নুরের ওপর চাপিয়ে জিএস গোলাম রাব্বানী জানিয়েছেন, নিজের দুর্নীতি ঢাকতে বহিরাগতদের নিয়ে ডাকসুকে ব্যবহার করে অরাজকতা করছেন ভিপি নুর। সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের নিয়ে ডাকসুতে জড়ো হন তিনি। এসময় তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র, রড ও লাঠি ছিল। পরে ডাকসু ভবনের ওপর থেকে নুরের নেতৃত্বে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।
এ সময় গোলাম রাব্বানী বলেন, নুরকে আর ডাকসুতে ঢুকতে দেয়া হবে না। তার পদত্যাগের মাধ্যমে ডাকসু শান্ত হবে।
আজ রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে ডাকসুতে নুর ও তার সহযোগীদের ওপর একটি পক্ষের হামলার পর রাব্বানী এ ঘোষণা দেন।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এ হামলায় অংশ নেন। এ সময় ডাকসুর সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য তাদের বাধা দিতে গেলে তাকেও শিবির আখ্যা দিয়ে লাঞ্ছিত করেন মঞ্চের নেতাকর্মীরা। পরে সূর্যসেন হল সংসদের ভিপি মারিয়াম জামান সোহান এবং জিএস সিয়াম হামলায় অংশ নেন। তারাও লাঠিসোটা নিয়ে ভিপি নুর এবং অনুসারীদের মারধর শুরু করেন।
জানা গেছে, ঘটনার সময় ভিপি নুরের কক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন। সবাই মিলে মারধর করে নুরের কক্ষ থেকে পাঁচজনকে বের করে দেন।
একপর্যায়ে সনজিত ও সাদ্দাম সেখান থেকে বেরিয়ে এলে অন্য একটি গ্রুপ ডাকসু ভবনে প্রবেশ করে। নুরসহ সবাইকে কক্ষের লাইট অফ করে মারধর করা হয়। আহত হয়ে কয়েকজন সেখানেই পড়েছিলেন। প্রক্টরিয়াল টিম গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। কয়েকজনকে অ্যাম্বুলেন্স এবং রিকশাযোগে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে ১৭ ডিসেম্বর নুরের ওপর হামলা চালিয়ে তার দুই আঙুল ভেঙে দেয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ওইদিনের হামলায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ১০ জন আহত হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।