বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দুর্নীতির অভিযোগে পদ হারানোর পর নিজের ভুলত্রুটির জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ক্ষমা চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন রাব্বানী।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘মমতাময়ী নেত্রী, আপনার মনে কষ্ট দিয়েছি, আমি অনুতপ্ত, ক্ষমাপ্রার্থী। প্রিয় অগ্রজ ও অনুজ, আপনাদের প্রত্যাশা-প্রাপ্তির পুরো মেলবন্ধন ঘটাতে পারিনি বলে আপনাদের কাছেও ক্ষমাপ্রার্থী।
মানুষ মাত্রই ভুল হয়। আমিও ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নই। তবে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, স্বেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে, আবেগ-ভালোবাসার এই প্রাণের সংগঠনের নীতি-আদর্শ পরিপন্থী ‘গর্হিত কোনও অপরাধ’ করিনি। আনীত অভিযোগের কতটা ষড়যন্ত্রমূলক আর অতিরঞ্জিত, সময় ঠিক বলে দেবে।
প্রাণপ্রিয় আপা, আপনি আদর্শিক পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবের সুযোগ্য তনয়া, ১৮ কোটি মানুষের আশার বাতিঘর। আপনার দিগন্ত বিস্তৃত স্নেহের আঁচল, এক কোণে যেন ঠাঁই পাই। আপনার ক্ষমা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে বাকিটা জীবন চলতে চাই।’
প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা, নিজেদের অনুষ্ঠানে মূল সংগঠনের নেতাদের আমন্ত্রণ করে তাদের পরে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কানে পৌঁছায়। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দলীয় সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন, যা গত ৭ সেপ্টেম্বর বাংলা ট্রিবিউনে ‘ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দিতে শেখ হাসিনার নির্দেশ’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও চাঁদাবাজির ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হন প্রধানমন্ত্রী। এসব ঘটনার জেরে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এদিকে রাব্বানীর ফেসবুক পোস্টের বিপরীতে দলটির নেতাকর্মীরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অনেকে রাব্বানীর বিরুদ্ধে গৃহীত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন, আবার অনেকেই এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে তাকে সান্ত্বনা দিয়ে আগামীর পথে আগে বাড়ার পরামর্শ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।