পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
নিজেদের মধ্যে ডলারের পরিবর্তে স্বর্ণের ও পণ্যের বিনিময়ে বেচাকেনা শুরুর চিন্তাভাবনা করছে ইরান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া ও কাতার। মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের নিয়মিত আরোপ করা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধ করতেই এমন পদক্ষেপের চিন্তা চলছে বলে জানান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মুহাম্মদ।
কুয়ালালামপুর সম্মেলনের শেষ দিন গতকাল শনিবার মাহাথির বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার মুখেও ইরান ও কাতারের অর্থনৈতিকভাবে টিকে থাকার প্রশংসা করে বলেন, ‘যেভাবে কোনো দেশ একক সিদ্ধান্তে অন্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত আরোপ করে চলছে, তাতে আমাদের মাথায় রাখতে হবে মালয়েশিয়াসহ অন্য যে কারো ওপরই যেকোনো সময় এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রস্তাব রেখেছি স্বর্ণমুদ্রা এবং পণ্যের বিনিময়ে ব্যবসার ধারণাটিকে আমরা নতুনভাবে নিজেদের মধ্যে ভেবে দেখতে পারি। আমরা খুবই গুরুত্বের সাথে এটি বিবেচনা করছি এবং আশা করি এটি কার্যকরের কোনো উপায় আমরা বের করতে পারব।’
নির্যাতিত মুসলিম উম্মাহকে সহযোগিতায় একমত হয়েছেন মুসলিম নেতারা। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে চার দিনব্যাপী কুয়ালালামপুর সামিটে গোলটেবিল বৈঠক ও সেমিনারে উঠে আসে নির্যাতিতদের কথা। পাঁচটি দেশের নেতা, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ এবং বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে প্রায় ৪৫০ জন প্রতিনিধি চার দিনব্যাপী এই সম্মেলনে অংশ নেন।
সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন- ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আলে ছানি। তারা সবাই কয়েক দশক ধরে ইসরাইলের দখলদারিত্বের মধ্যে থাকা ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। মুসলিম দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিত্বকারী সৌদিভিত্তিক বৈশ্বিক সংস্থাকে হ্রাস করার জন্য সংগঠন ইসলামিক কনফারেন্সের (ওআইসি) সমালোচনার মধ্যে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।