পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের মারধরে আলমগীর হোসেন (৩৮) নামে এক গাড়ি চালকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে আলমগীরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। তবে পুলিশের দাবি, মৃত আলমগীরের পরিবারের দাবি ভিত্তিহীন। ইয়াবাসহ গ্রেফতারের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। নিহত আলমগীরের বড়ভাই আব্দুর রাজ্জাক জানান, আলমগীর উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের শেষ মাথায় ফুলবাড়িয়া এলাকায় পরিবারসহ থাকতেন। পাশাপাশি উত্তরা-৭ নম্বর সেক্টরে একব্যক্তির গাড়ি চালাতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা সদরে। বাবার নাম নূরুল ইসলাম।
তিনি অভিযোগ করেন যে, গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে ডিউটি শেষ করে বাসায় ফেরার পথে উত্তরা-১১ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। বিষয়টি জানার পর আমরা ১৭ ডিসেম্বর সকালে আমরা থানায় যাই। তখন আলমগীরকে আদালতের নেওয়ার জন্য গাড়িতে তোলা হচ্ছিল। কিন্তু সে তখন খুড়িয়ে হাঁটছিল। বিষয়টি দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। কারণ আমার ভাই পুরোপুরি সুস্থ ছিল।
ঢামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অচেতন অবস্থায় আলমগীরকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) ডেপুটি জেলার জাহিদ জানান, হাজতি হিসেবে আলমগীর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। বিকেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে কারাগার থেকে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, মৃত অবস্থায়ই আলমগীরকে হাসপাতালে আনা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি কাজী আবুল কালাম বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে উত্তরা-৭ নম্বর সেক্টর থেকে ৮০ পিস ইয়াবাসহ আলমগীরকে আটক করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে পরের দিন আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। নিহতের পরিবার নির্যাতনের যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেন তিনি মন্তব্য করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।