মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) বাতিলের দাবিতে ভারতীয়দের মাঠের আন্দোলনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্টজনদের প্রতিবাদ মিছিলে দেশটি কার্যত যখন অচল তখন সমান তালে প্রতিবাদ ঝড় চলছে নেট দুনিয়ায়ও। সর্বত্রই একই দাবি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ‘নো সিএএ, নো এনআরসি।’
এদিকে এনআরসি ও সিএএ ইস্যুটি বাংলাদেশের সাথে জড়িত থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন নেটিজেনরা। তারা মোদি সরকারের প্রতি অবিলম্বে মুসলিমবিরোধী আইনটি প্রত্যাহার করার জোর দাবি তুলেছেন।
জান্নাতুন প্রিতি লিখেছেন, ‘‘ভারতে এনআরসি-ক্যাবসহ আরো বিপর্যয়কর যা আসন্ন, এর গোড়ায় আছে বাংলাদেশে আবুল বারাকাতদের গবেষণা! এই গবেষণা থেকে বিজেপি, শিবসেনা ভয়ানকভাবে শক্তিলাভ করেছে। এর উপর ভর করে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা মারাত্মক রকমে বিপন্ন!’’
ভারতের মুসলিমবিরোধী এনআরসির বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন সম্পর্কে রবিউল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘সহিংসতার জন্য দায়ী ভারতীয় সাম্প্রদায়িক সরকার তথা মোদি-অমিত শাহ। মুসলমানরা প্রতিবাদ করছে এবং এটা তাদের ন্যায্য প্রতিবাদ।’’
‘‘চীন, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কাতে মুসলিমরা নির্যাতিত তারা কি সংখ্যালুঘু নয়? বিজেপি সরকার ইচ্ছা করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এই তিনটা মুসলিম দেশ সিলেক্ট করেছে যাতে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়া যায়.! শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমারের হিন্দুরা কি নির্যাতিত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয় নি কিন্তু বিজেপি সরকার কৌশলে এই বিষয় টা এড়িয়ে গেছে..?’’ লিখেছেন মেহেদী হাসান।
উদ্বেগ জানিয়ে ইয়াসিন রিয়াদ লিখেছেন, ‘‘ভারতীয় মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষজন যদি বাংলাদেশে এভাবে আসা শুরু করে তবে এদেশে মুসলমানদের সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে, সংখ্যালুগুরা আরো সংখ্যালুগু হয়ে পড়বে। যেহেতু ভারত সরকার আমাদের দেশের সংখ্যালুগু মানুষদের নিয়ে খুবই চিন্তিত তাই ভারতের উচিত তাদের দেশের মানুষদের আমাদের দেশে না পাঠানো অর্থাৎ এনআরসি বাতিল করা।’’
শঙ্কা প্রকাশ করে মুসা মনির লিখেছেন, ‘‘বিজিপির উস্কানিমূলক কথায় ভারতে যদি কোন বড় রকম সমস্যা বাধে তাহলে সে দেশের তুলনায় আশংকাজনক ভাবে আমরা বাংলাদেশিরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’’
‘‘আজকে একটা কথা বার বার মাথায় আসে হাইরে আমাদের দেশের সরকার আর মুসলিম দেশগুলার সরকার কেন চুপ থাকে!!! আরে তোমাদের তো আন্দোলন করতে হবে না আন্তর্জাতিক ভাবে একটু কথা বললে কি হবে!’’ আক্ষেপের সাথে লিখেছে জিয়ারেদ রহমান।
মিজানুর রহমান লিখেছেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী ও অমিত সাহার জুটিকে মুসলিমভীতি রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।তাই তাদের আর অন্য কোন কাজ কর্ম যা আছে সব বাদ, এখন কাজ শুধু একটায় কিভাবে মুসলিমদের পায়ের নিচে দাবিয়ে রাখা যায়। তা জন্য যা করার দরকার তাই করছে।’’
কাজী আনাসের মন্তব্য, ‘‘জাকির নায়ক এর কাছে হাজার হাজার হিন্দু মুসলিম হইছে তাই উনারে বের করে দিছে, এখন এনআরসি করে সব মুসলমানদের বের করে দিতেছে। এসব করে কি আর হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করা যাবে, বরং উল্টা মানুষ আরো বেশি ইসলামে আসতেছে।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।