মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এবার বিতর্কে জড়ালেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর। ভারতের দূত হিসাবে সফরে গিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক এড়িয়ে যাওয়াটা তার উচিত হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের দিকে আঙুল ওঠার জন্য কেন ওই বৈঠক এড়িয়ে গেলেন জয়শঙ্কর, তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে মার্কিন রাজনৈতিক মহলে। কাজটা যথাযথ হয়নি বলে সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরও।
জবাবে জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘আমার মনে হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গে যেটা বলা হয়েছে তা সঠিক নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে যে চোখে দেখা হয়েছে, সেটাও ঠিক নয়।’
এ সপ্তাহে আমেরিকা সফরের সময় মার্কিন কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের। সেই প্রতিনিধিদলে ছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের হাউস পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান এলিয়ট এঞ্জেল, মাইকেল ম্যাককল, প্রমীলা জয়পাল-সহ বহু রিপাবলিকান সদস্য।
জম্মু-কাশ্মীরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের পদক্ষেপের প্রতিবাদে প্রমীলা কয়েক দিন আগেই একটি প্রস্তাব এনেছেন মার্কিন কংগ্রেসে। সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, টানা ১৩৪ দিন ধরে জম্মু-কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখে মোদি সরকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করে চলেছেন। অবিলম্বে সেই পরিষেবা চালুরও দাবি জানানো হয়েছে প্রস্তাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলের প্রধান এলিয়ট এঞ্জেলকে জানিয়েছিলেন, প্রমীলা না থাকলে তিনি বৈঠকে হাজির হতে পারেন। কিন্তু তাতে রাজি হননি এলিয়ট। ফলে, বৈঠকটিও হয়নি।
প্রমীলার বক্তব্য, ‘কোনও ভিন্ন মত, বিরোধী সুর যে মোদি সরকার শুনতে চায় না, এই ঘটনা সেটাই জোরালো ভাবে প্রমাণ করল। জম্মু-কাশ্মীরের ঘটনার গুরুত্বেই আলোচনার প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল। বৈঠকে কে থাকবেন আর কে থাকবেন না, তা নিয়ে বিতর্কে না গিয়ে যার প্রয়োজন বেশি, সে দিকেই নজর দেয়ার দরকার ছিল।’
জয়শঙ্করের বত্তব্য, ‘যাদের কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্য রয়েছে বা খোলাখুলি আলোচনার ইচ্ছা রয়েছে, আমি তাদের সঙ্গেই কথা বলতে চাই। কিন্তু যারা আগে থেকেই তাদের চিন্তাভাবনাটা তৈরি করে রেখেছেন, তাদের সঙ্গে আমি আলোচনায় বসতে চাই না। তাই ওর (প্রমীলা) সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হইনি।’
তবে ‘কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস’-এর ভারত বিশেষজ্ঞ অ্যাশলি টেলিস বলেছেন, ‘আমাদেরও তো কিছু বলার ছিল। কিছু জানারও ছিল। সেই সুযোগটা কিন্তু হারালাম।’ বৈঠক এড়িয়ে যাওয়াটা উচিত হয়নি বলে তার টুইটে সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরও। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।