Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভারতে তথ্য-পাচার আটক পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ডে

যশোর ব্যুরো ও বেনাপোল অফিস | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ভারতে দেশ থেকে গুরুত্বপ‚র্ণ তথ্য পাচারের মামলায় গ্রেফতার হওয়া বেনাপোল ইমিগ্রেশনের সাবেক কনস্টেবল দেব প্রসাদ সাহার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। শুনানি শেষে দুপুরে আদালতের বিচারক সাইফুদ্দিন হুসাইন পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার এজাহার স‚ত্রে জানা যায়, গ্রেফতার দেব প্রসাদ সাহা বর্তমানে ঢাকার উত্তরা ১ নম্বর আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নে কর্মরত। দেব প্রসাদ সাহা খুলনার তেরখাদা উপজেলা সদরের সুরেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে। ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত তিনি বেনাপোল ইমিগ্রেশনে কর্মরত ছিলেন। তার বিপি নম্বর ৭৫৯৮০৫১১৯৮ ও কনস্টেবল নম্বর ৭০৩। সেনাসদস্য শাহনেওয়াজ ও অফিস সহকারী আবু হানজালার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে ভারতে পাচারের বিষয়টিও দেব প্রসাদ স্বীকার করেছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, তার নামে গত ১৫ ডিসেম্বর বেনাপোল পোর্ট থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়েছিল। দেবপ্রসাদ খুলনার তেরখাদা উপজেলা সদরের বাসিন্দা। তিনি ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বেনাপোল ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় তিনি যখন তখন নোম্যান্সল্যান্ড অতিক্রম করে ভারতে যাওয়া আসা করতেন। বেনাপোলে দায়িত্ব পালনকালে বিশেষ বাহিনীর দুই সদস্যের সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়। ওই দু’জন মাঝে মধ্যে বেনাপোলে গিয়ে ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টু নামে দু’জনের কাছে বাংলাদেশের গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করতেন। ২০১৮ সালে শেষের দিকে দেব প্রসাদ সাহা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্বলিত এক পেনড্রাইভ নোম্যান্সল্যান্ড অতিক্রম করে ভারতে পাচার করেন। ১৫ দিন পর তিনি বিশেষ বাহিনীর এক সদস্যের কাছ থেকে এনে আরেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্বলিত পেনড্রাইভ ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টুর কাছে হস্তান্তর করেন।

পুলিশ জানায়, গত ২৫ অক্টোবর ঢাকার কমলাপুরের এক হোটেল থেকে ডিজিএফআই ও র‌্যাবের হাতে সৈনিক শাহানেওয়াজ শাহিন আটক হন। এ সময় তার কাছ থেকে গুরুত্ব¡পূর্ণ এক পেনড্রাইভ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তিনি ভারতে তথ্য পাচারের বক্তব্য দেন। পরে পুলিশ হেড কোয়ার্টার তদন্ত কমিটি গঠন করে অনুসন্ধানে নামে। তদন্তে তাদের মোবাইল ফোনের কললিস্ট থেকে ভারতের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আরেফের সঙ্গে কথোপকথনের ভিডিও সিডির মাধ্যমে ভারতে বাংলাদেশের তথ্য পাচারের বিষয় উঠে আসে। এরপর দেব প্রসাদের নামে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা ও আটক করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার সুপারভিশনে থাকা যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, রিমান্ডে তার কাছে বিস্তারিত তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুলিশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ