বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শ্যালক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আকরাম হোসেনের ১১তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ। ২০০৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুনিয়ার বর্ণাঢ্য জীবনের ইতি টেনে পাড়ি দেন মাবুদে মাওলার সান্নিধ্যে। শেখ আকরাম আওয়ামীলীগ রাজনীতির পরীক্ষিত এক নেতা ছিলেন তিনি। ত্যাগ ত্যাতিক্ষায় তার অবস্থান ছিল তুলনাহীন। স্বৈরাচার এরশাদ সরকার শেখ হাসিনাকে গৃহবন্দি করলে ওই সময় নিজেও স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি হন তিনি। শেখ আকরাম হোসেন ‘জাতীয় মামা’ নামে সবার কাছে সমাদৃত ছিলেন। তৃণমুল নেতাকর্মীদের নিকট তিনি ছিলেন ভরসা ও ত্যাগ ত্যাগ তীতিক্ষার অনুপ্রেরণা। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামীলীগ রাজনীতির আদর্শে লালনে ছিলেন অবিস্মরনীয় অতুলনীয় এক চরিত্র তিনি। শেখ হাসিনার পাশে ছায়ার মতো থাকতেন সুখে-দুঃখে। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় শেখ হাসিনাকে সাবজেলে বন্দি করে রাখার আইজি প্রিজনের অনুমতি আদায় করে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথম দেখা করার সুযোগ গ্রহন করেন তিনি। বর্ষিয়ান এই নেতা নিজের শারিরীক অসুস্থতার মধ্যেই প্রায় দিনই সাব কোর্টে তার আদরের প্রিয় ভাগ্নি শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে নিজেই উপস্থিত হতেন। সার্বিক খবর নিজ দায়িত্বে পৌছে দিতে লন্ডনে অবস্থানরত অপর ভাগ্নি শেখ রেহনাকে। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ও তার পরিবারের প্রতি বিরল ভালোবাসায় মহিয়ান হয়ে হয়ে আছেন আজও তিনি। ২০০৪ সালে হঠাৎ করে লিভার ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে পড়েন পরিবারের বিশ^স্ত ও দলের ভরসা পূর্ণ এই নেতা। শেখ হাসিনা আন্তরিক পরামর্শে প্রথমে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎিসার জন্য ভর্তি করা হয়। তৎকালীন ভিসি প্রফেসর ডাঃ মাহমুদুল হাসানের অধীনে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষনে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। শেখ আকরাম হোসেনের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে নিজে উপস্থিত হয়েছিলেন শেখ হাসিনা। চিকিৎসায় শারিরীক উন্নতি হলে আবার রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েন তিনি। ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নমিনি হয়ে নমিনেশন পত্র দাখিল করেছিলেন শেখ আকরাম হোসেন। কর্মময় জীবনের দ্যুতিময় পথ চলার অস্তিত্ব গৌরবের ইতিহাস গড়ে ২০০৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর অবধারিত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মহান এই দেশপ্রেমিক নেতা শেখ আকরাম হোসেন। মৃত্যুকালে ৩ কন্যা ২ পূত্র সন্তান রেখে যান তিনি। শেখ মিলি, শেখ ঝিলি, শেখ মলি, শেখ হিরা, শেখ শাফিন তারই সুযোগ্য সন্তান। তারা প্রত্যাকই রাজনীতি সহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে অধিষ্টিত রয়েছেন সর্বোচ্চ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নির্ভরতা ও প্রশংসার উচ্চতায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।