বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গ্রহন করা হয়েছে তাঁর কবর জিয়ারত, শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি। বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি সংসদ সিলেটের উদ্যোগে গৃহিত বিভিন্ন কর্মসূচি মধ্যে রয়েছে নাইওরপুলস্থ ওসমানী জাদুঘরে খতমে কোরআন, মিলাদ ও দোয়া, ওসমানীর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও কবর জিয়ারত, যোহরের পর হযরত শাহজালাল (রহ:) দরগাহ মসজিদে মিলাদ ও দোয়া, আসরের পর নাইওরপুল নূরমঞ্জিলস্থ ওসমানী জাদুঘরে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র রক্ষায় বঙ্গবীর ওসমানীর অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং পঙ্গত্ববরণকারী ও সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে হুইল চেয়ার ও সেলাই মেশিন বিতরণ।
ওসমানীর জন্ম ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাবার কর্মস্থল সুনামগঞ্জে। তবে তাঁর গ্রামের বাড়ি সিলেটের ওসমানীনগরের দয়ামীরে। অসাধারণ মেধাবী ওসমানী ১৯৩৪ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় ব্রিটিশ ভারতের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৩৮ সালে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাসের পর ১৯৩৯ সালে ফেডারেল পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। একই সময়ে তিনি ব্রিটিশ রাজকীয় সামরিক বাহিনীতে জেন্টেলম্যান ক্যাডেট নির্বাচিত হলেও সিভিল সার্ভিসে না গিয়ে দেরাদুনে ব্রিটিশ-ভারতীয় সামরিক একাডেমিতে কোর্স সম্পন্ন করেন তিনি। ১৯৩৯ সালে ওসমানী রয়েল আর্মড ফোর্স ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। বাঙালিদের মধ্যে ব্রিটিশ আর্মির সর্বকনিষ্ঠ মেজর ছিলেন জেনারেল এম এ জি ্ওসমানী। ব্রিটিশদের বিদায়ের পর তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। পাক সেনাবাহিনীতে থাকা অবস্থায় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।১৯৬৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কর্নেল পদে থাকা অবস্থায় অবসরে যান ওসমানী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন ওসমানী। তিনি ১৯৭০ এর নির্বাচনে ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ-বিশ্বনাথ এলাকা থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে অসামান্য কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন তিনি। মুক্তিবাহিনীর প্রধান হিসেবে পালন করেন অতুলনীয় ভূমিকা। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন জেনারেল ওসমানী। পরবর্তীতে বাকশাল গঠনের প্রতিবাদে ১৯৭৫ সালে সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। নিজে জনতা পার্টি নামে আলাদা রাজনৈতিক দল গঠন করেন তিনি। ১৯৭৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ওসমানী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।