২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
প্রথমেই আমাদের জানতে হবে লাইপোসাকসন কি? স্কিনের নিচের চর্বি মেশিনের মাধ্যমে টেনে বের করার পদ্ধতিকে লাইপোসাকসন বলে। অন্যদিকে অপারেশনের স্থান অবশ করার পর ওষুধ দিয়ে ফুলিয়ে ফেলা হয় তাকে টিএল লাইপোসাকসন বলে। লাইপোসাকসন অপারেশনের সময় ব্যথা হয় না, হলেও তা অতি সামান্য। সেজন্য পেইন কিলার দেয়া হয়, যাতে রোগী ব্যথা অনুভব না করে। এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ডাক্তার ও রোগী গাফিলতি না করলে এটি অবিশ্বাস্য রকম নিরাপদ। এ পদ্ধতিতে পেট, কোমর, ব্রেস্ট, থুতনি, আর্ম (হাত), থাই (উরু) অপারেশন করা যায়। লাইপোসাকসনের পর রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় না এবং নিজেই বাসায় চলে যেতে পারেন। মনে রাখতে হবে প্রতিটি চিকিৎসার পর রোগীর বাসায় বিশ্রাম নিতে হয়। লাইপোসাকসনের পর রোগীকে বাসায় একদিন বিশ্রামে থাকতে হয়। পরে দুইদিন বাসায় হাঁটাচলা করা যাবে। চতুর্থ দিন থেকে স্বাভাবিক কাজ করা যাবে। ১০ দিন পর থেকে ভারি সব ধরনের কাজ করা যাবে।
একটা কথা না বললেই নয়, অনেকেই মনে করেন লাইপোসাকসনের পরই অপারেশনের জায়গাটি ¯িøম হয়ে যাবে, তা কিন্তু নয়। ¯িøম হতে সাধারণত ৩ থেকে ৬ মাস সময় লাগে। স্থান ভেদে এ অপারেশনের মাধ্যমে এক-দুই লিটার থেকে পাঁচ লিটার পর্যন্ত ফ্যাট বের করা হয়। অনেকেই শরীরের ওজন কমানোর জন্য এটি করে থাকেন। তা কিন্তু উচিত নয়। সাধারণত এ অপারেশনের মাধ্যমে যত লিটার ফ্যাট বের করা হয় তার দ্বিগুণ পর্যন্ত ওজন কমে। এ অপারেশনের পর ওজন না বাড়লে কখনোই আর নতুন চর্বি জমা হবে না। মনে রাখতে হবে ওজন কমানোর স্পষ্ট উপায় হলো ডায়েটিং ও ব্যায়াম। অনেকেই একটি প্রশ্ন করে থাকেন লাইপোসাকসনের ফলে প্রেগনেন্ট হতে অসুবিধা হবে কিনা? মনে রাখতে হবে লাইপোসাকসনে শুধু ফ্যাট কমায়। এতে প্রেগনেন্সি ও ব্রেস্ট ফিডিংয়ে অসুবিধা হয় না। ১৬ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ইচ্ছে করলে লাইপোসাকসন করতে পারেন। এর ফলে চামড়া ঝুলে যাবে না ও ছিদ্র দেখা যাবে না।
লাইপোসাকসনের পর করণীয় -
১. প্রচুর তরল খাবার খেতে হবে।
২. একদিন বিশ্্রামে থাকতে হবে।
৩. পরবর্তী দুই দিন বাসায় হাঁটাচলা করা যাবে।
৪. চতুর্থ দিন থেকে স্বাভাবিক কাজ করা যাবে।
৫. ১০ দিন পর থেকে স্বাভাবিক ও ভারি কাজ করা যাবে।
৬. চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।
৭. দুই দিন ধূমপান করা যাবে না।
ষ ডা. এসএম বখতিয়ার কামাল
সহকারী অধ্যাপক (চর্ম-যৌন-এলার্জি)
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
কামাল স্কিন সেন্টার, ০১৭১১৪৪০৫৫৮।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।