Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডাকসু ভিপির সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলা : সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড়

শাহেদ নুর | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৫ পিএম

ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জাতীয় নাগরিক নিবন্ধনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরের ডাকা সমাবেশে হামলা চালিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এতে নুরসহ তার সংগঠন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ১০ জন আর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ৫ জন আহত হয়েছেন৷ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নেটিজেনরা। তারা হামলাকারীদের যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এএমএস লিটু তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘অল্প শোকে কাতর অধিক শোকে পাথর। এই অপকর্মের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং প্রিয় ভাইয়ের সুস্থতা কামনা করছি।’

‘মুক্তিযোদ্ধাদের আদর্শের সাথে এদের কাজকর্মকে কিছুতেই মেলাতে পারছি না।’ - শাকিল হাওলাদারের মন্তব্য।

এহসান আহাদ লিখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাকি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড এ কেমন অক্সফোর্ড? কোন রকম অযৌক্তিক কাজে বাধা নেই, যৌক্তিক কাজে সমর্থন করে না, এখানে নাকি মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে, তাদের কর্মকান্ড এতোটা সস্তা কেন? যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এনআরসি প্রতিবাদ জানিয়ে একাত্ত্বতা ঘোষণা করে, সেখানে তাদের নিজেদের তো মুরদ নেই, অন্যরা করে তাতেও বাঁধা! কি শেখার আছে এদের থেকে? আবার খুব করে বলে এটাই বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রণ করে। এইখানে সচেতনরা থাকে ব্লাব্লাব্লা...। মানুষের জন্য কিছু কাজ হোক প্রতিবাদ, হোক আন্দোলন, কিছু করুন মানুষ মনে রাখবে।’

‘ক্ষমতা মানুষের চিরকাল থাকে না। ভিপি নুরের প্রতি মানুষের আরও শ্রদ্ধা বেড়ে গেল। ভিপি নুর তুমি মহান। আল্লাহ তোমাকে রক্ষা করবে। ধৈর্য ধারণ করো।’ - রেজাউল করিমের পরামর্শ।

হামলার ছবি শেয়ার করে রনি আহমেদ লিখেছেন, ‘এই ঘটনার তিব্র নিন্দা জানাই। দেশে কিছু লোক আছে, যারা নিজ স্বার্থে রাজনীতি করে। তার প্রমাণ এই ঘটনা। গোটা বিশ্ব যেখানে ভারতের নাগরিক আইনকে নিন্দা জানাচ্ছে, সেইখানে এই .....গুলো বিরুদ্ধে কেন?’

হাসানুজ্জামানের প্রশ্ন, ‘ভিপি নুর ভারত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে, তাতে এই এদের কি? এই এরা কেন হানাদার বাহিনীর মতো এই বিজয়ের মাসে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পরলো?

‘সারা দেশ জুড়ে তীব্র প্রতিবাদের আগুন জ্বলে ওঠোক। কেন বার বার তার ওপরে হামলা হবে? তার কি কথা বলার অধিকার নেই? তার কি প্রতিবাদের অধিকার নেই? সারা দেশের ছাত্র সমাজ জেগে ওঠো। তোমরা যদি ঘুমিয়ে থাকো, এদের হাত শক্ত হবে। তোমরা যদি জেগে ওঠো, এরা পালিয়ে যাবে । জেগে ওঠো ছাত্র সমাজ, তরুণ সমাজ, নতুন কোন প্রতিবাদের প্রতিজ্ঞা নিয়ে।’ - ফাইজুর রহমানের আহ্বান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সোশ্যাল মিডিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ