পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পদ্মা সেতুর ১৯তম স্প্যান বসছে আজ। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লৌহজংয়ের মাওয়ার কন্সস্ট্রাকশন ইয়ার্ড-১ থেকে ৪-সি নম্বর স্প্যান নিয়ে ভাসমান জাহাজ ‘তিয়ান-ই’ রওয়ানা দিবে বলে নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ।
জাজিরা প্রান্তে ২১ ও ২২ নম্বর খুঁটিতে (পিয়ার) ৪-সি নম্বর স্প্যান বসানোর সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখানে ২১ ও ২২ নম্বর খুঁটির কাছে পৌঁছাতে ঘন্টা দুই সময় লাগবে। পরে দুপুর ১ টা নাগাদ স্থায়ীভাবে বসানো হবে সেতুর ১৯তম স্প্যান ৪-সি। ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি বসানোর পর সেতুর মোট ২৮৫০ মিটার দৃশ্যমান হবে। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসেই শুশু ৪টি স্প্যান বসবার কথা রয়েছে।
পদ্মা সেতুর প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে নির্ধারিত সময়েই বসানো হবে সেতুর ১৯তম স্প্যান। চলতি বছরে এ পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে ১২টি স্প্যান বসেছে। আজ আরও ১টি স্প্যান বসতে যাচ্ছে। এছাড়া ২৮ অথবা ২৯ ডিসেম্বর ৩এফ নম্বরের ২০তম ¯প্যানটি মাওয়া প্রান্তের ১৮ ও ১৯ নম্বর খুঁটিতে বসার কথা রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরেই সেতুর ১৪টি স্প্যান দৃশ্যমান হতে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে ১টি, ২০১৮ সালে ৫টি এবং ২০১৯ সালে এ পর্যন্ত ১২টি স্প্যান বসেছে।এ মাসেই আরও ২টি স্প্যান বসতে যাচ্ছে।
প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী জানান,এ পর্যন্ত ৩৩টি স্প্যান মাওয়ায় পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে ১৮টি স্প্যান খুঁটির ওপর স্থাপন করা হয়ে গেছে। এছাড়া আরও ৫ টি স্প্যান মাওয়ার কুমারভোগ কন্সস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ও ৯টি স্প্যান পদ্মার চর এলাকায় অস্থায়ী স্টক ইয়ার্ডে রাখা আছে, যা খুঁটির ওপর স্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে। আরও চারটি ¯প্যান চীন থেকে মাদার ভ্যাসেলে করে সমুদ্র পথে আনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সেতুর ৪২ খুঁটির মধ্যে ৩৫টি স¤পন্ন হয়েছে। গত বুধবার সর্বশেষ ৬ নম্বর খুঁটির কাজ শেষ হয়েছে। ৩০ নম্বর খুঁটির কাজ এ সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এছাড়া সেতুর ৮, ১০, ১১, ২৬, ২৭ ও ২৯ নম্বর খুঁটির কাজও এগুচ্ছে। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর ৪২ খুঁটিতে ৪১টি ¯প্যান বসবে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।