পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের কেশরিতা এলাকায় লাক্সারি ফ্যান কারখানায় অগ্নিকান্ডে ১০ শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপরদিকে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত ১০ জনের লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যাদের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে এরা হলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নোয়াগাঁও এলাকার লাল মিয়ার ছেলে পারভেজ, ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার রাঘবপুর এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম, দিনাজপুরের কাহারোল থানার বারপটিকা এলাকার হামিদ মিয়ার ছেলে মো. লিমন ইসলাম, গাজীপুর কালনী গ্রামের সাইফুল ইসলাম খানের ছেলে মোহাম্মদ ফয়সাল খান, একই উপজেলার কেশরিতা গ্রামের শ্রী বীরবল চন্দ্র দাসের ছেলে উত্তম চন্দ্র দাস, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মার্তা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে শামীম, একই গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে রাশেদ, রংপুরের হারাগাছ থানা কাচুবকুলতলা এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে ফরিদুল ইসলাম, নরসিংদীর বেলাব থানার চরকাশিনগর এলাকার মাজু মিয়ার ছেলে সজল মিয়া এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর এলাকার মোর্শেদ মিয়ার ছেলে ইউসুফ মিয়া। নিহতদের লাশ দাফন করার জন্য কারখানার পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নিহতের স্বজনদের দেয়া হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই ফ্যান কারখানায় অগ্নি নির্বাপণ সরঞ্জাম এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল না। এছাড়া কারখানায় একাধিক বহির্গমন পথ থাকলে এক সঙ্গে এতগুলো প্রাণহানির ঘটনা ঘটতো না। দুর্ঘটনা তদন্তে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শাহিনুর ইসলামকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকেও আলাদা তদন্ত টিম গঠন করা হচ্ছে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারি পরিচালক মামুনুর রশিদ জানান, গ্রাম এলাকায় গড়ে ওঠা লাক্সারি ফ্যান কারখানায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতি ছিল না। ছোট কারখানার টিনশেডের বর্ধিত অংশে জরুরি একাধিক বহির্গমন পথ না থাকায় এক সঙ্গে এতগুলো প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। কারখানায় নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য গত রোববার সন্ধ্যায় ওই কারখানায় আগুনে পুড়ে ১০ শ্রমিক মারা যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা ২ ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।