পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএবি)- এর প্রতিবাদে ভারতজুড়েই উত্তাল। রাজ্যে রাজ্যে চলছে হরতাল-অবরোধ। কারফিউ ভেঙে উত্তর-পূর্ব রাজ্য আসাম ও ত্রিপুরায় প্রতিবাদের পর এখন তা ছড়িয়ে গেছে অন্যান্য রাজ্যেও। আগুন জ্বলছে পশ্চিমবঙ্গের রাস্তায় রাস্তায়। এই আইনের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা ‘গণআন্দোলনে’ সাড়া দিয়েছেন পাঞ্জাব, দিল্লি, কেরালা, ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরা। বিরোধীর দল কংগ্রেস ভারত বাঁচাও আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। এছাড়াও ভারতকে বিভেদ, ঔদ্ধত্য এবং অক্ষমতা থেকে বাঁচানোর জন্য বিশ্বব্যাপী বিক্ষোভের পরিকল্পনাও করছে দলটি। কংগ্রেসের বিদেশের শাখাগুলোও বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাধ্যমে ‘ভারত বাঁচাও’ সমাবেশে যোগ দেবে বলেই জানিয়েছে এই দল। এমন যখন পরিস্থিতি। নাগরিকত্ব আইনের কারণে চাপে রয়েছে মোদি সরকার। তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে ভারত জুড়ে। সিঁড়িতে উঠতে গিয়ে হোচট খেয়ে পড়ে যাওয়া মোদির পায়ের তলায় মাটি সরে যাচ্ছে কিনা সে প্রশ্নও তুলেছে কলকাতার বাংলা দৈনিক আজকাল। একই সংবাদ প্রকাশ করেছে আরেক দৈনিক এই সময়।
আজকাল পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে- পরিস্থিতি ঘোলাটে। সত্যিই কি পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে মোদির? না হলে অমন স্মার্ট মানুষটি কয়েকটি সিঁড়ি চড়তে গিয়েই হোঁচট খেয়ে পড়লেন? নাকি ‘ধর্ম’এর কলে বাতাস লেগেছে জোরে? তাই প্রধানমন্ত্রী নিজের পায়ে দাঁড়ানোর শক্তি হারিয়েছেন? না হলে কানপুরে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্প দেখতে গিয়ে এমন করে পড়ে কেউ?
প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে এমনিতেই তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা সবসময়ে থাকেন। এখানেও ছিলেন। কানপুর গঙ্গার ঘাট থেকে নৌকা বিহারে গঙ্গা ঘুরে দেখার কথা ছিল মোদির। সেইমতো বেশ টগবগ করে সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলেন। হঠাৎ বা পায়ের পাতা আটকে গেল শেষ সিঁড়িতে। হুমড়ি খেয়ে সামনে পড়লেন মোদি। ছুটে এল এসপিজি। ধরে তুলল তাঁকে। ভাগ্যিস হাতে কোনওক্রমে পতন রোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। না হলে বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারত।
উত্তর থেকে দক্ষিণ, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসছে গোটা দেশ। যাঁরা এতদিন ‘নমো নমো’ করে কাটিয়েছেন তাঁরাই এখন নাগপুর বয়েজের বাপ বাপান্ত করছেন। টেনশনে থাকা তো স্বাভাবিক। কিন্তু মোদি তো চিরকাল তাঁর ব্যক্তিত্ব দিয়েই আকর্ষণ করেছে হাজার হাজার ভারতীয়কে। আর সেই তিনিই কিনা ভারতীয় অর্থনীতির মতো একেবারে ধুলোয় গড়াগড়ি যাচ্ছেন? ভিডিও দেখে কেউ কেউ বলছেন, ‘তব মুকুট পড়িল পদতলে, হায় এ কী দশা!’
অন্যদিকে এই সময় লিখেছে- দেশ উত্তাল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের আঁচে। আর ঠিক এমনই সময়ে কানপুরে ‹নমামী গঙ্গে› প্রজেক্টের দেখভাল করতে সিঁড়িতে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার কানপুরে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্দেশ্য ছিল, ‹নমামী গঙ্গে› প্রজেক্টের পর্যবেক্ষণ। মোদির সঙ্গেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত এবং বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি।
কানপুরের সেই অটল ঘাটে গিয়েই হোঁচট খেয়ে পড়ে যান প্রধানমন্ত্রী। তড়িঘড়ি সেই অবস্থাতেই তাঁকে তোলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। আর নরেন্দ্র মোদির এই পড়ে যাওয়ার ঘটনাতেই নেটপাড়ায় শুরু হয়ে গিয়েছে বিস্তর বিতর্ক। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বেনজির আক্রমণ করেছেন নেটপাড়ার মানুষজন। কেউ বলছেন, ‹পতনের এই শুরু।›#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।