Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রুম্পাকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার শরীরে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এ বিষয়টি তুলে ধরে রোববার পুলিশের কাছে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। গতকাল রুম্পার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন সম্পর্কে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি আরো বলেন, ধর্ষণ হয়েছে কি না সে বিষয়ে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে দেয়া হয়েছিল। নমুনা পরীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্ট আমাদের হাতে এসেছে। সেখানে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। উপর থেকে পড়ে রুম্পার মৃত্যু হয়েছে। তবে, বাকি দুটি পরীক্ষার মেডিকেল রিপোর্ট এখনো আসেনি। ওই দুই মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়া গেলে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেয়া হবে বলেও জানান ডা. সোহেল মাহমুদ। অন্যদিকে রুম্পার বন্ধু আবদুর রহমান ওরফে সৈকতকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তকে গতকাল পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। আবদুর রহমানের সঙ্গে রুম্পার সম্পর্ক ও পরে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি কিছুদিন আগে জানতে পারে তার পরিবার। সিদ্ধেশ্বরীর যে স্থান থেকে রুম্পার লাশ উদ্ধার করা হয়, সেখানে পাশাপাশি তিনটি ভবনের একটি ১২ তলা (আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স)। এর চারতলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক (দোকান, বিভিন্ন অফিস) কার্যক্রম চলে। পঞ্চম তলা থেকে আবাসিক ফ্ল্যাট। আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে শারমিনকে ফেলে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। রুম্পার অস্বাভাবিক মৃত্যুকে হত্যাকান্ড আখ্যা দিয়ে এর বিচার চেয়ে কয়েক দফা বিক্ষোভ করেছেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।

এর আগে, গত ৫ ডিসেম্বর রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী থেকে উদ্ধার হওয়া স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুম্পার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ। গত ৪ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরীর ৬৪/৪ নম্বর বাসার নিচে রুম্পার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনার পরপরই পুলিশ, সিআইডি, ডিবি ও র‌্যাবের সদস্যরা আলামত সংগ্রহ করেন। রুম্পার বিষয়ে পুলিশের সুরতহাল রিপোর্ট অনুযায়ী মেরুদন্ড, বাম হাতের কনুই ও ডান পায়ের গোড়ালি ভাঙ্গা। মাথা, নাক, মুখে জখম এবং রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। বুকের ডান দিকে ক্ষত চিহ্নও ছিল।
সৈকতের কাছ থেকে কোনো তথ্য পায়নি পুলিশ
রুম্পার মৃত্যু ঘটনায় তার কথিত ছেলেবন্ধু আবদুর রহমান ওরফে সৈকতকে চার দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, চার দিনের রিমান্ড শেষে সৈকতকে গতকাল আদালতে পাঠানো হয়। তার কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সৈকত ও রুম্পার দুটি মোবাইল ফোন ও রুম্পার পোশাক ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া রুম্পার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার কথা রয়েছে। ওই প্রতিবেদন পেলেই জানা যাবে রুম্পা আত্মহত্যা করেছে, নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহ মো. আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস বলেন, রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন না পওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ