Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মোদির হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা রক্তপাত যুদ্ধ সৃষ্টি করতে পারে : ইমরান খান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বৃহস্পতিবার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে ভারত পরিকল্পিতভাবে হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছে। বুধবার ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রসঙ্গে ইমরান খান এই মন্তব্য করেন। এই বিলের ফলে ভারত সরকার ২০১৫ সালের আগে প্রতিবেশী তিন দেশ থেকে অবৈধভাবে আসা লাখ লাখ অমুসলিমকে নাগরিকত্ব দিতে পারবে। গত মে মাসে পুনঃনির্বাচিত মোদি সরকার বলছে, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে মুসলিমরা নির্যাতিত হয় না বলে তাদেরকে রাখা হয়নি। টুইটারে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, যে এ বিল হলো মোদির হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের আরেক চেষ্টা, যা শুরু হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরকে দখল করা এবং সেখানে অবরোধ অব্যাহত রাখা, আসামের নাগরিকত্ব থেকে ২০ লাখ ভারতীয় মুসলিমকে বাদ দেয়া। এগুলোর পাশাপাশি আছে মুসলিমদের পিটিয়ে হত্যা করা। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নাৎসি জার্মানির প্রচারিত শ্রেষ্ঠত্ববাদী এজেন্ডার প্রতি নতজানুর ফলেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স‚চনা ঘটেছিল। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পরমাণু হুমকির মুখে পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি মোদির হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ববাদী এজেন্ডা বিপুল রক্তপাত এবং বিশ্বের জন্য সুদ‚রপ্রসারী পরিণতি ডেকে আনবে। তিনি বলেন, জার্মানির মতো মোদির ভারতেও ভিন্নমতকে কোণঠাসা করা হয়েছে। বিশ্বকে এখন খুব বেশি দেরি হওয়ার আগেই মোদির ভারতের রক্তপাত ও যুদ্ধের হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ববাদী এজেন্ডা রুখতে এগিয়ে আসতে হবে।নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, হিন্দু, জৈন, পার্সি ও শিখদেরকে ভারতীয় নাগরিকত্ব মঞ্জুর করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে এই সুযোগ দেয়া হয়নি। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, এটি মুসলিমবিরোধী নয়। কারণ সব স¤প্রদায়ের জন্য বিদ্যমান নাগরিকত্ব বিধানটিতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, এই আইনটি ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যকে বৈধ করা হয়েছে এবং তা ভারতের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সাউথ এশিয়ান মনিটর।



 

Show all comments
  • Atiqur Rahman ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 0
    thik bolcen , love u
    Total Reply(0) Reply
  • Monjurul Islam ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
    খান আপনি কিছু করেন। অন্য কাউকে দিয়ে তারে থামানো যাবেনা। বাংলাদেশের তেনারা বাঁশ খাবে তবু দাদাদের দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারবেনা। কারন দাদাদের কাছে তারা প্রতিনিয়ত ঋণী।
    Total Reply(0) Reply
  • Hasan Mahmud ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
    You are a great leader.
    Total Reply(0) Reply
  • Md Sheikh Abdullah Abdullah ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
    মোদিকে দমাতে হলে,একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া অন্য কোন দেশ আমি দেখছিনা
    Total Reply(0) Reply
  • AhkamulHaque Tipu ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
    Absolutely right modi r ugrobadi policy modern world er ka u accept korbena
    Total Reply(0) Reply
  • Manzoor Bahar ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
    ভারত একটি ভয়াবহ যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তার দেশকে!! এবং এর মাধ্যমে দেশ ভাগ হবে!!!
    Total Reply(0) Reply
  • Mujibur Rahman ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
    আরএসএস শিবসেনার জন্ম হিন্দুত্ববাদীদের মাধ্যমে! ভারত বিভক্ত হয় হিন্দুত্ববাদীদের উগ্র সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক কর্মকান্ড মুসলিম লীগ গঠনে বাধ্য করে। বিজেপি এরই ধারাবাহিকতা!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ