Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সংস্কৃত বললে ডায়াবেটিস কমে, বিজেপি নেতার দাবি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৫:৫৯ পিএম

ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি’র নেতারা মাঝে মধ্যেই অতি উৎসাহী হয়ে ধর্ম নিয়ে উদ্ভট উদ্ভট মন্তব্য করে ফেলেন। এবার সেই ধারাবাহিকতায় যোগ দিলেন ক্ষমতাসীন দলটির এক সংসদ সদস্য। গণেশ সিং নামের ওই সংসদ সদস্যের দাবি, সংস্কৃত ভাষায় কথা বললে ডায়াবেটিস কমে যায়। দেশটির পার্লামেন্টে গত বৃহস্পতিবার সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় বিলের ওপর দেয়া বক্তৃতায় এ দাবি করেন তিনি।

গনেশ বলেন, ‘প্রতিদিন সংস্কৃত ভাষা বললে স্নায়ুতন্ত্র (নার্ভ সিস্টেম) শক্তিশালী হয়। একই সঙ্গে এতে ডায়াবেটিক রোধ করা যায় ও শরীরের চর্বিও (কোলেস্টোরেল) কমে।’ তার এ দাবি বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার গবেষণায় সংস্কৃত বলার উপকারিতার বিষয়টি উঠে এসেছে।’ তার মতে, নাসার গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, কম্পিউটারের প্রোগ্রামিং সংস্কৃত ভাষায় করলে তা হবে নিখুঁত। তিনি আরও দাবি করেন, কিছু ইসলামী ভাষাসহ বিশ্বের ৯৭ শতাংশ ভাষার মূল সংস্কৃত।

একই দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতাপ চন্দ্র সারাঙ্গি বিলটির ওপর সংস্কৃত ভাষায় পার্লামেন্টে বক্তব্য পেশ করেন। তিনি দাবি করেন, সংস্কৃত ভাষা খুবই সহজ ও প্রাঞ্জল এবং একটি বাক্য বিভিন্নভাবে প্রকাশ করা যায়। সারাঙ্গির দাবি, বিভিন্ন ইংরেজি শব্দ যেমন ব্রাদার (ভাই) ও কাউ (গরু) সংস্কৃত থেকে নেয়া। প্রাচীন এ ভাষাকে নতুনভাবে জীবন দেয়ার জন্য পদক্ষেপ নিলে অন্য ভাষার ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেন সারাঙ্গি।

ভারতের প্রাচীনতম ভাষার মধ্যে একটি সংস্কৃত ভাষা। ইন্দো-আর্য শ্রেণীর এ ভাষার বয়স প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর। প্রথম থেকেই সমাজের উঁচু শ্রেণী বিশেষ করে ব্রাহ্মণদের ভাষা হিসেবে পরিচিত ছিল সংস্কৃত ভাষা। এই ভাষায় লেখা হয় হিন্দুদের অন্যতম প্রাথমিক ধর্মীয়গ্রন্থ বেদ।

সময়ের পরিবর্তনে ও ভারতে মুসলমানদের আগমনের পর ধীরে ধীরে সংস্কৃতের কদর রাজদরবার ও সরকারি দফতরে কমে যায়। ২০১১ সালের এক গবেষণা থেকে দেখা যায়, ভারতে মাত্র ২৪ হাজার ৮২১ জন মাতৃভাষা হিসেবে সংস্কৃত ভাষায় কথা বলে। সূত্র: আউটলুক ইন্ডিয়া।

 



 

Show all comments
  • Mohammed Kowaj Ali khan ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৯:৪৮ পিএম says : 0
    শুনিরে গাঁধা হ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ