পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর বনানীতে এক চীনা নাগরিককে হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দেয়ার ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা হত্যকা-ের ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় থানা পুলিশ, ডিবি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। হত্যাকা-ের সময় ভবনের সিসি ক্যামেরাগুলো ছিল বন্ধ। প্রাথমিক তদন্তে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা করছেন, হত্যাকারীরা পরিকল্পিতভাবে সিসি ক্যামেরা বন্ধ রেখেছিল। তবে এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত চীনা ব্যবসায়ী গাউজিয়ান হুইর বন্ধু জাং শান-হং বুধবার রাতে বনানী থানায় ওই মামলা দায়ের করেন। আটক তিনজকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ও গোয়েন্দারা।
বনানী থানার ওসি নূরে আজম মিয়া জানান, জাং শান-হং নিজেও একজন চীনা নাগরিক। তিনি ঢাকার উত্তরায় থাকেন। মামলায় আসামি হিসেবে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি জানিয়ে ওসি নূরে আজম বলেন, গাউজিয়ান হুইর বাড়ি থেকে আটক তার গাড়ি চালকসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও আলোচিত এ হত্যার ঘটনার তদন্ত করছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বনানীর ২৩ নম্বর রোডের ৮২ নম্বর বাসার পাশ থেকে ৪৭ বছর বয়সী ওই চীনা নাগরিকের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তার গাড়িচালক সুলতানসহ তিনজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ জন্য থানায় নিয়ে যায়। দশ তলা ওই ভবনের ষষ্ঠ তলার একটি ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে থাকতেন গাউজিয়ান। ঢাকায় তিনি পাথরের ব্যবসা করতেন এবং পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজেও পাথর সরবরাহ করতেন বলে তথ্য আছে পুলিশের কাছে।
তদন্তের সাথে জড়িত গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে কোনো এক সময় তাকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুতে ফেলা হয়। বুধবার সকালে বাসার কাজের লোকজন ভবনের পাশের খোলা জায়গায় কাজ করার সময় মাটি থেকে শরীরের অংশ বেরিয়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তারা পায়ের গোড়ালি আর মাথার চুল মাটির উপরে বেরিয়ে থাকতে দেখেন। তখন সিআইডি ও চীনা দূতাবাসে খবর দেওয়া হয়। তাদের উপস্থিতিতে গাউজিয়ানের লাশ তোলা হয়।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, সে সময় গাউজিয়ানের নাকে রক্ত এবং গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ষষ্ঠ তলার যে ফ্ল্যাটে গাউজিয়ান থাকতেন, তার সামনের অংশে ছিল তার অফিস। সেখানে একটি স্যান্ডেলে কয়েক ফোটা রক্ত এবং দরজায় ধস্তাধস্তির আলামত পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, এটা পরিকল্পিত হত্যাকা- বলে মনে হয়েছে। ভবনের সিসি ক্যামেরাগুলো ছিল বন্ধ। প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে, হত্যাকারীরা পরিকল্পিতভাবে সিসি ক্যামেরা বন্ধ রেখেছিল। চীনা এই নাগরিকের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।