Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এসিল্যান্ড শূন্য সিংড়া!

কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত সরকার

আনোয়ার হোসেন আলীরাজ, সিংড়া (নাটোর) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৯ এএম

নাটোরের সিংড়ায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে প্রায় ১ হাজার মিসকেস মামলা বিচারাধীন। প্রতিদিন গড়ে ৩০-৩৫টি ই-নামজারী জমা পড়ে। নিয়মিত সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা না থাকায় ভুিম অফিস ও সিংড়া সাব-রেজিস্টার অফিস মিলে মাসে প্রায় ১ কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হছে সরকার।
উপজেলা ভুমি অফিস সুত্রে জানা যায়, গত ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা হিসেবে বিপুল কুমার যোগদান করে ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করে। এরমধ্যে প্রায় ৫ মাস কাটিয়েছেন তিনি ট্রেনিংয়ে। ফলে ই-নামজারী ও মিসকেস মামলার পাহাড় জমে যায়। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর চলতি বছর ১ জুন গুরুদাসপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে সপ্তাহে রোববার ও সোমবার সিংড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে আসেন। তিনি সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অফিস করে অনেক পুরাতন মামলার জট কমিয়ে নিয়ে এসেছেন। বর্তমানে প্রায় ৭শ’ মিসকেস মামলা বিচারাধীন।
ভুমি মালিক রেজাউল করিম ও আনোয়ার হোসেনের অভিযোগ করে বলেন, বার বার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তার বদলীর কারণে ২০১৩-১৪-১৫-১৬-১৭-ও ১৮-সালের অনেক মিসকেস মামলা নিস্পত্তি হয়নি। ফলে দিনের পর দিন কয়েক হাজার কৃষক ভুমি অফিসের বারান্দায় ঘোরপাক খাচ্ছেন।
বর্তমান সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খানকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বদলী করা হয়েছে। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার কয়েক হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সিংড়া সাব-রেজিস্টার অফিসের দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, সিংড়া দলিল লেখক সমিতিতে ১৬০ জন দলিল লেখক রয়েছে। নিয়মিত সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা না থাকায় জমি ক্রয়-বিক্রি হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা না থাকায় ভুিম অফিস ও সিংড়া সাব-রেজিস্টার অফিস থেকে মাসে প্রায় ১ কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হছে সরকার। উপজেলার কয়েক হাজার ভুমি মালিক মানুষের কথা বিবেচনা করে দ্রুত একজন সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বদলী চলমান প্রক্রিয়া।
তবে এই উপজেলায় একজন নিয়মিত সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা জরুরি দরকার।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাজস্ব


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ