বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে(আইসিজে) মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির বক্তব্যের পর রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে নেটিজেনরা। আদালতে দেয়া বক্তৃতায় রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে সু চি তার দেশের উগ্রবাদী বৌদ্ধ ও সেনাদের গণহত্যা-ধর্ষণের অপরাধ অস্বীকার করেছেন। সু চি বলেছেন, গণহত্যা নয়, সেখানে সেনাবাহিনীর সাথে অস্ত্রধারীদের যুদ্ধ হয়েছে। আর তাতে মানুষ পালিয়েছে।
সু চির এমন বক্তব্যে হতাশ গোটা বিশ্বের মানবাধিকার কর্মীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং অং সান সু চিকে ‘মিথ্যুক’ বলে অভিহিত করেন।
মঙ্গলবার বাদীপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের পর বুধবার মামলার আসামী পক্ষ মিয়ানমার তাদের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করে। মিয়ানমারের যুক্তি উপস্থাপনের দিন শুরুতে দেশটির প্রতিনিধি দলের প্রধান অং সান সুচি তার সূচনা বক্তব্যে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। আর সু চির এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা।
মানবাধিকার কর্মী কাজী আনওয়ার লিখেছেন, ‘‘একজন চোর কখনোই স্বীকার করবে না যে- সে চোর; কিন্তু প্রমাণ থাকলে তার বিচার করা সম্ভব।বিশ্বকে সেই প্রমাণ দিয়েছি। এমনকি মিথ্যা বলার জন্য সু চি’র বিচার করা উচিত। তাকেও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। বিশ্বের উচিত তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া।’’
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘‘আইসিজেতে মিয়ানমারের কৌঁসুলিদের বক্তব্য শুনলাম সুচির স্টেটমেন্ট পড়লাম পুরোটা। মিয়ানমারের যুক্তিগুলো ছিল খুবই দুর্বল।’’
‘‘ওর বিনা বক্তব্যেই ফাঁসি হওয়া উচিত। কারণ সারা বিশ্ব জানে সু চি মানুষ নাকি মানুষরূপি রাক্ষসী’’ ক্ষোভের সাথে লিখেছেন বাধন আল রহমানি।
আব্দুর রহমান লিখেছেন, ‘‘বিশ্বে অনেক নেতার বিচার হয়েছে, সুচি তা থেকে রক্ষা পাবেনা, অর্থাৎ সুচিও তাদের চেয়ে বড় কিছু নয়, আন্তর্জাতিক আদালতে তার ফাঁসি হোক এই মুসলিমদের পক্ষ থেকে আমার কামোনা।’’
শাহীন হিমু লিখেছেন, ‘‘মায়ানমার নিরাপরাধ, অসহায় রোহিঙ্গা মানুষদের সাথে যে ভয়াবহতম গণহত্যা চালিয়েছে সেটা ভীষণ মর্মান্তিক। সু চি তো হলো মিথ্যার প্রতিমূর্তি। তবে সে আমাদের বাঙ্গালিদেরও গালি দিল। বাঙ্গালি নারীরা নাকি নেংরা! তবে মিয়ানমারের বিচার তো হবেই, সর্বশক্তিমান আল্লাহ অত্যাচারী মিয়ানমারকে শাস্তি দেবেন।’’
‘‘সু চি যখন অস্বীকার করছে, তখন রোহিঙ্গারা আবার নিজ দেশে ফিরে যাক। যদি বাঁধা দেয়; তখনই বুঝা যাবে’’ মন্তব্য সাজিদুল হাসানের।
জাহিদ মাহামুদ লিখেছেন, ‘‘সু চির এই মিথ্যা এখন সবাই খুব ভালো করে জানে আর এই মিথ্যা দিয়ে সে কোনদিন জয় পাবেনা। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববাসিকে এটা বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে আসলেই মায়ানমার কতোটা ভয়াবহ ছিলো। আর সু চি যে মিথ্যুক তাও তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন।’’
ফিরোজ আলম লিখেছেন, ‘‘একজন অপরাধী তার অপরাধ অস্বীকার করবে এটা স্বাভাবিক। সুচিও এক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম নয়। মূল কথা হলো, সুচি ভালো করেই জানেন যে খুনীদের পক্ষ নিয়ে দালালি না করলে তার পদ থাকবে না। মিয়ানমারের খুনী জান্তারা আগেও সুচিকে বন্দী করে রেখেছিল এখনও তাকে বন্দী করেই রেখেছে। মনুষত্য নয়, শুধুমাত্র সুচির দেহ চার দেয়াল থেকে মুক্তি পেয়েছে।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।