Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

৩৩ কোটি ডলার ঋণ

বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও মেট্রোরেলের নকশা প্রণয়নে চুক্তি স্বাক্ষর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

ঢাকা ও পশ্চিমাঞ্চলের বিদ্যুৎ সম্প্রসারণ এবং মেট্রোরেল লাইন-৫ এর নকশা প্রণয়নে দুটি আলাদা প্রকল্পে ৩৩ কোটি ৩২ লাখ ডলার ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। গতকাল মঙ্গলবার বাজধানীর শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষ-২ এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সচিব মো. মনোয়ার আহমেদ ও এডিবির পক্ষে সংস্থাটির ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ। এরপর প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানী ও পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) সংশ্লিষ্টদের সঙ্গেও আলাদা আলাদা চুক্তি করে এডিবি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকা ওয়েস্টার্ণ জোন ট্রান্সমিশন গ্রীড এক্সপানশন প্রকল্পের আওতায় বিদ্যুৎ সম্প্রসারণে ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হবে। ৫ বছর মেয়াদী এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৭৫ কোটি ডলার। এর মধ্যে এডিবি ঋণ হিসাবে দিচ্ছে ৩০ কোটি ডলার। প্রকল্পের আওতায় ২২ কিলোমিটির ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন, ১৪৪ কিলোমিটার ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন, ২৪২ কিলোমিটার ১২৩ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া বেশ কয়েকটি উপকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে ৪০০ কেভির দুটি, ২৩০ কেভির ৩টি, ১৩২ কেভির ১০টি উপকেন্দ্র রয়েছে।

অন্যদিকে মেট্রোরেল-৫-এর নকশা প্রনয়নে ৩ কোটি ৩২ লাখ ডলার ঋণ দেবে এডিবি। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলা হয়, এ অর্থ দিয়ে মেট্রোরেল ৫-এ নকশা প্রনয়ন, টেকনিক্যাল ও প্রাথমিক কর্মকান্ড সম্পন্ন করা হবে। এজন্য ৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ে একটি টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে এডিবির ঋণের দেবে ৩ কোটি ৩২ লাখ ডলার।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মেট্রোরেল লাইন-৫ হবে দ্বিতীয় আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোরেল। এ পথে দুটি রুট। একটি রাজধানীর উত্তর দিক থেকে এবং অপরটি দক্ষিণ দিক থেকে। উত্তর দিক থেকে ২০ কিলোমিটার দূরত্বে মোট ১৪টি স্টেশন থাকবে। ১৪টি স্টেশনের মধ্যে ৯টি স্টেশন আন্ডারগ্রাউন্ডে ১৪ কিলোমিটার পথজুড়ে হবে। বাকি পাঁচটি স্টেশন এলিভেটেড অবস্থায় ৬ কিলোমিটার পথজুড়ে থাকবে। অপরদিকে দক্ষিণ দিক থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে মোট আটটি স্টেশন থাকবে, যার পুরোটাই আন্ডারগ্রাউন্ডে হবে।

মনোয়ার আহামেদ বলেন, উন্নয়নে অর্থের সংকট হবে না। উন্নয়ন সহযোগি সংস্থাগুলো বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করছে। বিশেষ করে এডিবির মতো সংস্থা, যারা আগেওছিল এখনো আছে, অভিষ্যতেও থাকবে। আমরা উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নে চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে মান ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে মনমোহন প্রকাশ বলেন বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এডিবি মেট্রোরেলে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। এর অংশ হিসেবে সম্ভাব্যতা যাচাইসহ টেকনিক্যাল কর্মকান্ড করতে সহায়তা দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দেশব্যাপি ছড়িয়ে দেয়ার নিমিত্বে সরকার বড় উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসাবে অনুমোদিত প্রকল্পে ৩০ কোটি ডলার সমপরিমাণ ঋণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। আশাকরি বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে এই অর্থ সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, এডিবি বাংলাদেশে উন্নয়নে গর্বিত অংশদার। প্রতিবছর যে পরিমাণ ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়, তার সবটাই দেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে থাকবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঋণ

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৫ জানুয়ারি, ২০২৩
২৯ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ