বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নগরবাসীর যাতায়াত সহজতর করতে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নামছে আধুনিক ২০টি বাস। শুরুতে মহানগরীর দুটি রুটে চলবে এসব বাস। সিএনজি অটোরিকশার ‘ভাড়ার চেয়ে কম’ বাসের ভাড়া থাকবে । মহিলাদের জন্য থাকছে মহিলা চালকের মাধ্যমে চালানো হবে একটি বাস। তবে পরবর্তীতে বাসের সংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এই বাস সেবার নাম দেওয়া হয়েছে ‘নগর এক্সপ্রেস’।
সূত্র জানায়, পরিবহন সেবায় অন্তহীন বিড়ম্বনার শিকার সিলেট নগরবাসী। সরকারি-বেসরকারি অফিস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু ও শেষের সময় নগরীতে যানবাহনের ওপর চাপ থাকে অনেক বেশি। অনেকেই প্রয়োজনীয় যানবাহনের জন্য অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন। এছাড়া নগরীতে সিএনজি অটোরিকশা কিংবা রিকশায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে গুনতে হয় বাড়তি ভাড়া। এসব বিবেচনায় গেল আগস্ট মাসে নগরীতে বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেয় সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। তাদের উদ্যোগে হাত বাড়ায় নিটল-টাটা মটরস।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ‘নগর এক্সপ্রেস’ শুরুতে ৪১টি বাস নিয়ে চালুর কথা ছিল। তবে আপাতত ২০টি বাস নিয়ে শুরু হবে এর যাত্রা। বাসগুলো সরবরাহ করেছে নিটল-টাটা মটরস। ইতিমধ্যে বাসগুলো সিলেটে নিয়ে এসে এগুলোর বাইরে রঙ দিয়ে বিশেষ সাজ দেওয়া হয়েছে। বাসের মধ্যে ‘নগর এক্সপ্রেস/নগরীর উন্নয়নে-নিরাপদ সঙ্গী’ স্লোগান লেখা হয়েছে।
এছাড়া ‘শেখ হাসিনার দর্শন সিলেটের উন্নয়ন’ শীর্ষক স্লোগানও লেখা আছে বাসের গায়ে। বাসগুলো সিলেট সিটি করপোরেশন এবং সিটি বাস মালিক গ্রুপ পরিচালনা করবে।
‘নগর এক্সপ্রেস’র সমন্বয়ক শাহ মো. বাহাদুর আলম জানান, ২০টি বাস নিয়ে ‘নগর এক্সপ্রেস’ চালু হবে প্রথম ধাপে। এসব বাসের প্রতিটিতে ২৫টি করে আসন (সিট) আছে। শুরুতে বাসগুলো টুকেরবাজার থেকে হেতিমগঞ্জ এবং টুকেরবাজার থেকে বন্দরবাজার হয়ে বটেশ্বর পর্যন্ত চলাচল করবে। পরবর্তীতে বাস ও রুটের সংখ্যা দুটোই বাড়বে। তিনি জানান, ‘নগর এক্সপ্রেস’ এর উদ্বোধন করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সাংসদ ড. এ কে আব্দুল মোমেন। মন্ত্রী যখন সময় দেবেন, তখনই এর উদ্বোধন হবে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) তিনি সময় জানিয়ে দিতে পারেন।
তিনি আরো জানান, মহিলাদের জন্য ৪টি পৃথক বাস চালানো হবে নগরীতে। তবে আপাতত একটি বাস দিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে। এ বাসের জন্য ব্র্যাক (বেসরকারি সংস্থা) থেকে একজন মহিলা চালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ‘নগর এক্সপ্রেস’ বাসের ভাড়া নগরীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়ার চেয়েও ‘কম হবে’ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যে সিলেট বিআরটিএ, সিলেট সিটি করপোরেশন, ট্রাফিক পুলিশ, নিটল টাটা মটরস-এর যৌথ আলোচনায় বাসভাড়া নির্দিষ্ট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাহাদুর আলম। তবে ভাড়ার পরিমাণ জানাতে পারেননি। তিনি
‘নগর এক্সপ্রেস’ ২৮টি স্টপেজ (যাত্রীদের ওঠা-নামার স্থান) বাস থামবে। নগরীর বন্দরবাজার, আম্বরখানা, টিলাগড়, মদিনা মার্কেট, চৌকিদেখী, কদমতলি, শহরতলির পীরেরবাজার, ক্যান্টনমেন্ট, বটেশ্বর, টুকেরবাজারসহ ২৮টি স্থানে বর্তমানে যাত্রী ছাউনি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে, এসব বাসের ভাড়া নগদে পরিশোধের পাশাপাশি অনলাইনে (বিকাশ, রকেট প্রভৃতি দিয়ে) পরিশোধ এবং যাত্রীদের জন্য রিচার্জ পদ্ধতির কার্ড চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের।
এমনটা জানিয়েছেন সিটি বাস মালিক গ্রুপের সদস্য মাহবুবুল হক চৌধুরী। তিনি জানান, যাত্রীর রিচার্জ কার্ডে টাকা থাকা পর্যন্ত তিনি বাসে যাতায়াত করতে পারবেন। কার্ডে টাকা শেষ হয়ে গেলে নির্দিষ্ট স্থান থেকে রিচার্জ করিয়ে নিতে পারবেন তিনি। তবে এ পরিকল্পনা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে এখনও।
জানা গেছে, ‘নগর এক্সপ্রেস’ সুরমা মার্কেট পয়েন্ট থেকে রশিদপুর, আম্বরখানা থেকে ভোলাগঞ্জ এবং বিমানবন্দর এলাকা থেকে হাজীগঞ্জ পর্যন্ত চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে সংশ্লিষ্টদের।
এ প্রসঙ্গে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘নগর এক্সপ্রেস’ নগরবাসীর স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এ সার্ভিস পরিবহন যাত্রায় সংযোগ করবে নতুন মাত্রা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।