বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জে কিশোরী এক শ্রমিককে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লার রেললাইন বটতলা এলাকায়। পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ৬জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, রাসেল, সুজন মিয়া (২৩), শাহাদাত হোসেন (২২), সুমন (২২), রবিন (২৩) ও আল আমিন (২১)।
ধর্ষিতার চাচাত ভাই আব্দুল কাদির জানান, তারা গোগনগর ফকির বাড়িতে ভাড়া থাকেন। একটি কয়েল কারখানায় তারা ভাই বোন চাকুরী করতেন। কয়েলের ব্যবসা মন্দা হওয়ায় কয়েকদিন আগে কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তারা বেকার হয়ে পড়েন। তাই ভাই বোন মিলে গার্মেন্টে চাকুরীর খোঁজে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফতুল্লার শেহারচর ফোরকান মসজিদের সামনে আসেন। এসময় ৪ যুবক তাদের আটক করে। এবং ওই যুবকরা তাকে ও তার বোনকে দুইদিকে নিয়ে যায়। দুইজনকে আলাদা করার পর তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আরও তিন যুবক। এসময় তারা তাকে মারধর করে সঙ্গে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে তিনি তার বোনকে খুঁজতে থাকেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বোনকে তিনি খুঁজতে থাকেন। এসময় তার বোন রামার বাগ এলাকার একটি ফোন ফ্যাক্সের দোকান থেকে তাকে ফোন দিলে তিনি সেখানে ছুটে যান। ছুটে গিয়ে তিনি ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারেন। এসময় তারা ভয়ে একই এলাকার ড্রাইভার হানিফ মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেন।
খবর পেয়ে পুলিশ সেই বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে যাবার পর সন্ত্রাসীরা ড্রাইভার হানিফের বাড়িতে চড়াও হয়। পুলিশের খবর দেবার অভিযোগে এনে ড্রাইভার হানিফের ছেলে মাসুমকে অপহরনের চেষ্টা চালায়। এসময় তারা মাসুমকে মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত এ্যাকশানে যায়। এরপরই শুরু হয় সাড়াসি অভিযান।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, ধর্ষিতা কিশোরী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এবং ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি জানান, ধর্ষিতা কিশোরী স্থানীয় একটি কয়েল কারখানায় কাজ করে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে ফেরার পথে তাদের পথরোধ করে এলাকার বখাটে যুবক রাসেল ও তার সহযোগী যুবকরা। পরে তারা মিলে চাচাতো ভাইকে মারধরে করে সঙ্গে থাকা ৩ হাজার ৪০০ টাকা লুটে নিয়ে তাকে আটকে রাখে। এক পর্যায়ে কিশোরীকে একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলে। এবং ধারালো ছুরির ভয় দেখিয়ে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই কিশোরীকে। ধর্ষণ শেষে কিশোরীকে ঘটনা কাউকে না বলার হুমকি দিয়ে একটি অটো রিকশায় তুলে দেয় ধর্ষকরা।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ৬জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা সকলেই ফতুল্লার রেল লাইন এলাকায় বসবাস করে এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।