পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন কেউ আসলে কোন আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তবে ফের দায়িত্ব পালনে ইন্টারেস্টেড কিনা? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণে আমি ইন্টারেস্টেড নই, একথা তো আমি বলিনি।
সভাপতি ছাড়া যে কোনও পদেই পরিবর্তন আসতে পারে। আমাদের দলের নেতৃত্ব পাওয়ার জন্য অসুস্থ কোনও প্রতিযোগিতা নেই। দলের সভাপতি যাকে যে দায়িত্ব দেন, তিনি সেই দায়িত্বেই সন্তুষ্ট থাকেন ও তা পালন করেন। তা সবাই মেনে নেন। নেত্রী চাইলে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনে আমার অনীহা নেই। আমি শারীরিকভাবে আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে অনেক সুস্থ অনুভব করছি। এই পদে নেত্রী যদি নতুন কাউকে আনতে চান, তাতেও আমার আপত্তি নাই। গতকাল সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, যেকোনো পদে পরিবর্তন হতে পারে, নেত্রী দলের স্বার্থে করতে পারেন। তিনি যা করবেন, এক বাক্যে সবাই মেনে নেবেন। এ ক্ষেত্রে কোন ক্ষোভ, দু:খ কিংবা বেদনা নেই। এমন কিছু এ পর্যন্ত কখনও হয়নি, এবারও হবে না আশা করি।
আরপিও অনুযায়ী আওয়ামী লীগের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী কোটা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তো ২০২০ সাল পর্যন্ত সময় আছে। সেটা আমাদের মাথায় আছে। আমরা নারী নেতৃত্ব ও প্রতিনিধিত্ব আরো বাড়ানোর ব্যাপারে সক্রিয় চিন্তা ভাবনা করছি।
আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনের প্রস্তুতির বিষয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতি ভালো। জেলা পর্যায়ে অনেকগুলো সম্মেলনের কাজ শেষ করেছি। ১৮ ডিসেম্বর সম্মেলন হবে ঝালকাঠি জেলায়। ১৩ তারিখ হবে গোপালগঞ্জের সম্মেলন। মোট ২৫-৩০টা সম্মেলন হয়ে যাবে। এখন সভাপতি-সেক্রেটারি নির্বাচন করা হচ্ছে, বাকি পূর্ণ কমিটি পরে অনুমোদন দেয়া হবে।
মন্ত্রিসভার রদবদল প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তবে সম্মেলনের আগে তা হচ্ছে না। এ মাসে সম্ভবনা কম। নতুন বছরে হবে কিনা সেটা প্রধানমন্ত্রী বলতে পারেন। তবে মন্ত্রিসভার পরিবর্তন ও সংযোজন, এগুলো তো রুটিন অনুযায়ী সব দেশেই হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, দূর্বল নেতৃত্বের কারণে বিএনপি এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। বিএনপির কে যে কখন কি বলেন, সেটা বোঝা বড় কঠিন। তাদের এ মুহূর্তের নেতৃত্বের দুর্বলতা, তাদের অস্তিত্ব ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। তাদের এখন নেতৃত্ব সংকট রয়েছে। বিএনপির দু’জন ডাক সাইটের নেতা বিদায় নিয়েছেন, আবার কে যে কখন যান, সেটা বলা মুশিকল। তাদের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। মুক্তির আন্দোলন নিয়ে কেউ বলছেন এখনও আন্দোলনের সময় হয়নি। তারা সব কিছুতে ব্যর্থ হয়ে আদালতের বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। নিরাপদ সড়ক আইন বাস্তবায়ন সম্পর্কে শাজাহান খানের দেওয়া বক্তব্যের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবেই সরকার চলবে। এখানে কারো ইচ্ছার কোনো বিষয় নেই। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।