মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ধর্ষণ আর যৌন হয়রানীতে ভারত যখন কাপছে তখন এলো নতুন খবর। এবার যৌন হয়রানীর কারছে বাবাকে কেটে টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দিল মেয়ে।
সুটকেসে ভরা পচাগলা দেহাংশগুলো জড়ানো ছিল একটি সোয়েটারে। যে দোকান থেকে সোয়েটারটি বানানো তার নাম লেখা ছিল পিঠে লাগানো ট্যাগে। সেই সূত্র ধরেই হত্যা-রহস্যের জাল ছাড়াল ভারতের মুম্বাই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা।
তদন্তে উঠে এল, গত ২৭ নভেম্বর বেনেট রিবেলো নামে ৫৯ বছরের এক গিটার বাদককে মুম্বাইয়ের দ্বারকা কুঞ্জে তার নিজের বাড়িতেই খুন করে দত্তক কন্যা ১৯ বছরের আরাধ্যা পাটিল ও তার প্রেমিক। তারপর লাশ ছোট ছোট টুকরো করে সুটকেসে ভরে ভাসিয়ে দেয় নদীতে। মাহিম সৈকত থেকে উদ্ধার হয় সেই সুটকেসটি।
তদন্তে জানা গেছে, বেনেটকে প্রথমে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে ও ছুরি গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে আরাধ্যা ও তার ১৬ বছর বয়সী প্রেমিক। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে মুখে মশা মারার ওষুধ স্প্রে করে দেয়। বেনেট মারা যাওয়ার পর তার লাশ ছুরি গিয়ে টুকরো করে অভিযুক্তরা। ওই অবস্থায় দেহ তিন দিন ফ্ল্যাটেই ছিল। সেই তিন দিন অভিযুক্তরাও ওই ফ্ল্যাটে ছিল। পরে লাশের টুকরোগুলো তিনটি সুটকেসে ভরে স্থানীয় মিঠি নদীতে ভাসিয়ে দেয় তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, দেহাংশগুলো জড়িয়ে রাখা সোয়েটারটিই ছিল তাদের হাতে থাকা একমাত্র সূত্র। সোয়েটারে লাগানো ট্যাগ থেকে জানা যায়, সেটি কুরলা এলাকার একটি দোকান থেকে বানানো। সেই দোকানে গিয়ে দর্জির সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, সোয়েটারটি বানিয়েছিলেন বেনেট রিবেলো নামে এক ব্যক্তি। এরপরে পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় খোঁজ শুরু করে বেনেটের। ফেসবুকে ওই নামের প্রোফাইলগুলো খুঁজতে থাকে তারা।
একটি প্রোফাইলে দেখা যায়, একই সোয়েটার পরা বেনেটের ছবি। সেখান থেকে তার ভিজিটিং কার্ডের ছবিও পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরে দ্বারকা কুঞ্জের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। জানতে পারে, বেনেট একটি কন্যাসন্তান দত্তক নিয়েছিলেন। তারপরই আরাধ্যা ওরফে রিয়া ও তার প্রেমিককে আটক করে জেরা শুরু করে। জেরায় দুই অভিযুক্ত দোষ স্বীকার করে।
আরাধ্যা জানায়, বেনেট তাকে যৌন হেনস্থা করতেন। তাদের সম্পর্ক নিয়েও আপত্তি ছিল বেনেটের। সেই ক্ষোভ থেকেই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে বাবাকে খুন করে সে। সূত্র: আনন্দবাজার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।