মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির আকাশ থেকে গত নভেম্বরে নিখোঁজ হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোনটি আসলে গুলি করে ভূপাতিত করেছিল রাশিয়া। এমনটাই মনে করে ওয়াশিংটন। এখন মস্কোর কাছে ওই ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছে মার্কিন বাহিনী। ৭ ডিসেম্বর শনিবার ইউএস আফ্রিকা কমান্ডের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
গত ২২ নভেম্বর আমেরিকার আফ্রিকা কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ত্রিপোলির আকাশ থেকে তাদের একটি ড্রোন নিখোঁজ হয়েছে। ত্রিপোলির নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং সেখানকার উগ্র গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা নজরদারি করতে ড্রোনটি ত্রিপোলির আকাশে পাঠানো হয়েছিল বিবৃতিতে দাবি করা হয়। তবে সে সময় ওই বিবৃতিতে ড্রোনটির ভাগ্যে কি ঘটেছে তা না জানিয়ে শুধু বলা হয়, এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে।
গতকাল শনিবার মার্কিন সেনাবাহিনীর আফ্রিকা কমান্ডের প্রধান জনোরেল স্টিফেন টাউনসেন্ড বলেন, ত্রিপোলিতে মোতায়েন রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে নিক্ষিপ্ত গুলির আঘাতে ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে গুলি করার সময় এটি যে মার্কিন ড্রোন তা ওই ব্যবস্থা বুঝতে পারেনি বলে তিনি নিজের অনুমানের কথা জানান।
জেনারেল টাউনসেন্ড বলেন, কিন্তু ভূপাতিত হওয়ার পর তারা নিশ্চয়ই জেনে গেছে ড্রোনটি কাদের ছিল। তিনি এটির ধ্বংসাবশেষ ফেরত দেয়ার জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানান। ওই মার্কিন জেনারেল লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে চলমান সহিংসতার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেন।
জীবনযাপনের মানের দিকে থেকে তেল-সমৃদ্ধ লিবিয়া এক সময় আফ্রিকার শীর্ষে ছিল। স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ছিল পুরোপুরি রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তবে যে রাজনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা ওই ঐশ্বর্য নিশ্চিত করেছিল, সেটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় ২০১১ সালে যখন পশ্চিমা সমর্থিত বিদ্রোহীদের হাতে কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন হয়। তারপর থেকে লিবিয়ায় চলছে সীমাহীন সংঘাত। গাদ্দাফি নিহত হওয়ার পর ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ সমর্থিত একটি মনোনীত সরকার ক্ষমতায় আসে। ওই কর্তৃপক্ষকে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার বা জিএনএ নামে অভিহিত করা হয়। তবে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হাতে রয়ে গেছে। পশ্চিমাঞ্চলে জিনএনএ-র কর্তৃত্ব থাকলেও পূর্ব ও দক্ষিণের বেশিরভাগ অঞ্চল হাফতার বাহিনী এলএনএ-র দখলে। গত এপ্রিলে এ বাহিনী লিবিয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। হাফতার বাহিনী এখনও ত্রিপোলী দখল করতে না পারলেও দুই পক্ষের মধ্যে মাঝেমধ্যেই ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়।
প্রায় পাঁচ বছর ধরে লিবিয়ায় দুটি সরকার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এদের মধ্যে ত্রিপোলির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জিনএনএ সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে জাতিসংঘ, তুরস্ক, কাতার, ইতালি ও যুক্তরাজ্য। অন্যদিকে ফিল্ড মার্শাল হাফতারের নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সমর্থন দিচ্ছে রাশিয়া, ফ্রান্স, সৌদি আরব, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে আন্তর্জাতিক সমর্থনের বিষয়টি স্পষ্ট নয়। যেমন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে (জিএনএ) সমর্থন করে এবং শান্তি আলোচনার আহ্বান জানায়। কিন্তু গত এপ্রিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প খলিফা হাফতারকে ফোন দিয়ে লিবিয়ার ব্যাপারে ‘যৌথ স্বপ্নের’ কথা বলেন। সূত্র: রয়টার্স, পার্স টুডে, আল জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।